কোটা সংস্কার হলে আন্দোলনে নামবে মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড
সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের জন্য নির্ধারিত কোটা সংস্কার করা হলে পাল্টা আন্দোলনে নামার ঘোষণা দিয়েছে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড।
কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন ব্যাপকতা পাওয়ার মধ্যে বিপরীত অবস্থান নিয়ে সংগঠনটির সভাপতি মেহেদি হাসান একথা জানিয়েছেন।
তাদের দাবির পক্ষে বুধবার বিকাল ৪টায় জাতীয় জাদুঘরের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করবেন বলে জানান তিনি।
বর্তমানে দেশে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের জন্য সরকারি চাকরিতে কোটা রয়েছে ৩০ শতাংশ। এছাড়া ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর জন্য পাঁচ শতাংশ, প্রতিবন্ধী এক শতাংশ, নারী ও জেলা কোটা ১০ শতাংশ করে। সব মিলিয়ে কোটার জন্য বরাদ্দ ৫৬ শতাংশ। ফলে এর কোনো শ্রেণিতে যারা পড়েন না, তাদের প্রতিযোগিতা করতে হচ্ছে বাকি ৪৪ শতাংশের জন্য।
এই পদ্ধতি সংস্কারের পাঁচ দফা দাবিতে ‘বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ’ এর ব্যানারে আন্দোলন চালিয়ে আসছে শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রত্যাশীরা।
ফাইল ছবি ফাইল ছবি
তাদের দাবিগুলো হল- সরকারি নিয়োগে কোটার পরিমাণ ৫৬ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১০ শতাংশ করা, কোটার যোগ্য প্রার্থী না পেলে শূন্যপদে মেধায় নিয়োগ, কোটায় কোনো ধরনের বিশেষ নিয়োগ পরীক্ষা না নেওয়া, সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে অভিন্ন বয়সসীমা, নিয়োগপরীক্ষায় একাধিকবার কোটার সুবিধা ব্যবহার না করা।
বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রত্যাশীরা বুধবার চতুর্থ দিনের মতো রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করায় অনেকটা অচল হয়ে পড়েছে রাজধানী। ঢাকার বাইরেও ছড়িয়ে পড়েছে কোটা সংস্কারের আন্দোলন।
এমন পরিস্থিতির মধ্যে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের মেহেদি হাসান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “৩০ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত বাংলাদেশ, এটা কারও দয়ার দান নয়।
“সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তান-নাতিদের জন্য নির্ধারিত কোটার কোনো ধরনের সংস্কার মুক্তিযোদ্ধার সন্তানরা মেনে নেবে না, শহীদদের রক্তের সাথে কোনো বেঈমানি করবে না।”
এর আগে সংগঠনটির পক্ষ থেকে চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় প্রিলিমিনারি থেকে সব পর্যায়ে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা অনুসরণের দাবিও তোলা হয়েছিল।