ট্রাম্পের খেয়ালখুশিতে চললে হবে না, টেরিজাকে করবিন
সিরিয়ার সরকারি বাহিনীর বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় অংশ নেওয়ার ক্ষেত্রে পার্লামেন্টের অনুমোদন না নেওয়ায় তোপের মুখে পড়েছেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী টেরিজা মে। প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে তাকে এ বিষয়ে বিভিন্ন প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়। বিরোধী নেতা জেরেমি করবিন বলেই ফেলেন, প্রধানমন্ত্রীকে দায়বদ্ধ থাকতে হবে পার্লামেন্টের কাছে, মার্কিন প্রেসিডেন্টের খেয়ালখুশিতে নয়।
গত শনিবার (১৪ এপ্রিল) ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরুর পরপরই সমালোচনার মুখে পড়েন টেরিজা। সোমবার (১৬ এপ্রিল) বিষয়টি পার্লামেন্টের অধিবেশনে উঠলে তাকে প্রশ্নবাণে জর্জরিত হতে হয়। যদিও তিনি দাবি করেন, হামলায় অংশ নেওয়াটা ছিল ‘নৈতিক ও আইনসিদ্ধ’।
পার্লামেন্টে বিষয়টি উত্থাপিত হলে বিরোধী দল লেবার পার্টির নেতা জেরেমি করবিন বলেন, এই ‘কার্যকলাপ আইনত প্রশ্নবিদ্ধ’
টেরিজাকে আইনি বৈধতার উপাত্ত পেশ করার আহ্বান জানিয়ে করবিন বলেন, ‘সরকারের উচিত পার্লামেন্টের প্রতি দায়বদ্ধ থাকা, মার্কিন প্রেসিডেন্টের খেয়ালখুশির প্রতি নয়।’
গত ৭ এপ্রিল সিরিয়ার পূর্ব ঘৌতার বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত শহর দৌমায় রাসায়নিক হামলার অভিযোগ ওঠে। এতে প্রায় ৭০ জন শ্বাসকষ্টে মারা যায়। অসুস্থ হয় আরও পাঁচ শতাধিক মানুষ। এই হামলার জন্য প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ বাহিনীকে অভিযুক্ত করে তাদের ‘শিক্ষা দিতে’ সেখানে ১৪ এপ্রিল ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্যসহ পশ্চিমারা।
ওপিসিডব্লিউ রাসায়নিক হামলার ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শনের উদ্যোগ নিয়েছে। কিন্তু পশ্চিমাদের অভিযোগ, সেখানে যেতে পরিদর্শকদের বাধা দেওয়া হচ্ছে, তাছাড়া আগেই হামলাস্থলের আলামত লোপাট করেছে রুশ বা তাদের সমর্থিত বাহিনী।
যদিও রাশিয়ার সামরিক বাহিনী আন্তর্জাতিক পরিদর্শকদের বুধবার (১৮ এপ্রিল) দৌমায় ঢুকতে দেবে বলে জানিয়েছে। সেখানে যাওয়ার জন্য ওপিসিডব্লিউ’র ৯ সদস্যের একটি দল সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কের নিকটবর্তী এলাকায় অবস্থান করছে।
রাসায়নিক হামলার জন্য কারা দায়ী, সে প্রশ্ন তুলে করবিন বলেন, ‘খুব ভালোভাবেই মনে হচ্ছে’ আসাদ সরকার এর পেছনে জড়িত, কিন্তু এমন হামলা এর আগেও অনেকে চালিয়েছে, সুতরাং আন্তর্জাতিক পরিদর্শকদের উচিত তাদের নিজেদের কাজ চালিয়ে যাওয়া।’