মুদ্রার মান কমাচ্ছে রাশিয়া, ইইউ'র সমর্থন চায় চীন
যুক্তরাষ্ট যেখানে সুদের হার বাড়াচ্ছে, সেখানে চীন এবং রাশিয়া তাদের মুদ্রার মান কমাচ্ছে। এমন অভিযোগ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
এক টুইটার বার্তায় তিনি বলেন, যদি কোন দেশের মুদ্রার মান ইচ্ছা করে কমানো হয়, সে দেশে রফতানি করাটা কঠিন হয়ে পড়ে। এদিক উচ্চ সুদহারের কারণে ডলারের মান বাড়ায় রফতানি করতে যুক্তরাষ্ট্রকে গুণতে হচ্ছে আরো অর্থ।
ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর থেকে চীনা ইউয়ান ও রুশ রুবলের বিপরীতে কিছুটা দুর্বল হয়েছিলো ডলারের মূল্যমান। তবে চীন এবং রাশিয়ায় নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর আবারো শক্তিশালী হয় ডলারের মান। ট্রাম্পের এ অভিযোগের তীব্র সমালোচনা করেছে চীন।
যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞার ক্ষতি কমিয়ে নিরাপত্তা স্বার্থে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সমর্থন চায় চীন। এ বিষয়ে ইউরোপের শীর্ষ অর্থনীতির দেশগুলোর নীতিনির্ধারকদের সাথে বৈঠক করেছেন চীন কর্তৃপক্ষ। বেইজিং কর্তৃপক্ষ ফ্রান্স, জার্মানি যুক্তরাজ্য, স্পেন ও ইতালির রাষ্ট্রদূতদের সাথে বৈঠক করেন।
এ বিষয়ে ইউরোপের কূটনীতিক বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য বিরোধী পদক্ষেপের বিরুদ্ধে একযোগে রুখে দাড়াতে হবে। মুক্ত বাণিজ্য চুক্তিতে পৌছাতে কাজ করতে হবে বলেও জানান তিনি। চীনের পাশাপাশি ইউরোপের স্টিল ও ইস্পাত আমদানিতেও শুল্ক আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
ব্রাসেলস জানায়, বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার শরণাপন্ন হয়ে ওয়াশিংটনের কাছে ক্ষতিপূরণ চাইবে ইইউ। ২০১৭ সালে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে চীনের বাণিজ্য ঘাটতি ছিলো সাড়ে ৩৭ কোটি ডলার।