মোস্তাফিজের মুম্বাইয়ে খেলার কারণ তাহলে এই
মোস্তাফিজের প্রতি মুম্বাইয়ের আগ্রহ কীভাবে হলো, সেটি জানালেন হাবিবুল বাশার।
গত আইপিএলে যেভাবে ম্যাচের পর ম্যাচ সাইডবেঞ্চে বসে কেটেছে, এবার দল পাবেন কি না, তা নিয়ে নিজেই সংশয়ে ছিলেন মোস্তাফিজুর রহমান। সে সংশয় ফুঁৎকারে উড়ে গেছে, বাঁহাতি পেসার পরে ২.২ কোটি রুপিতে নাম লিখিয়েছেন মুম্বাই ইন্ডিয়ানসে। মোস্তাফিজের প্রতি মুম্বাইয়ের আগ্রহ কীভাবে হলো, সেই গল্পটা শোনালেন হাবিবুল বাশার।
কাল ফেসবুকে প্রথম আলোর সরাসরি সম্প্রচারিত অনুষ্ঠান ‘আলাপনে’ এসেছিলেন সাবেক অধিনায়ক হাবিবুল। আইপিল প্রসঙ্গ উঠতেই বিসিবির এই নির্বাচক জানালেন, মোস্তাফিজের মুম্বাইয়ে সুযোগ পাওয়ার পেছনে মাহেলা জয়াবর্ধনের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। বিপিএলে জয়াবর্ধনে খুলনা টাইটানসের কোচ। হাবিবুল একই দলে কাজ করেন টেকনিক্যাল ডিরেক্টর হিসেবে। হাবিবুলদের কাছে মোস্তাফিজকে নিয়ে ভীষণ আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন শ্রীলঙ্কান কোচ। চোট থেকে ফেরার পর বাঁহাতি পেসার কী কী সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছেন, সেগুলো নিয়ে কথা বলতেন জয়াবর্ধনে।
হাবিবুল বললেন, ‘ওর (জয়াবর্ধনে) কাছে চিন্তার বিষয় ছিল মোস্তাফিজের গতি। একটা সময় সে যে ঘণ্টায় ১৪০ কিলোমিটার গতিতে বোলিং করত, সেটা চোট থেকে ফেরার পর করতে পারত না। এখন ধীরে ধীরে গতিটা আবার বাড়ছে। ও যখন জোরে বোলিং করতে পারে, তখন কাটার আরও কার্যকর হয়। মোস্তাফিজের এ বিষয়টি নিয়েই মাহেলা বেশি বলত। সে মনে করে, মোস্তাফিজ অনেক নিখুঁত বোলিং করতে পারে। কাটার দিয়ে মোস্তাফিজ যে স্লোয়ারটা করে, এত অ্যাকুরেসিতে আর কেউ করতে পারে না। আমার মনে হয়, মুম্বাই মোস্তাফিজকে নিয়েছে মাহেলার পছন্দেই।’
২০১৬ আইপিএলে দুর্দান্ত খেললেও গতবার সানরাইজার্স হায়দরাবাদের হয়ে মোস্তাফিজ সুযোগ পেয়েছিলেন মাত্র একটি ম্যাচ খেলার। হাবিবুল মনে করেন, এবার আইপিএলে বাংলাদেশ দলের তরুণ পেসারের ম্যাচসংখ্যা বাড়তে পারে। কীভাবে? এখানেও জয়াবর্ধনে। ‘আমার মনে হয় মোস্তাফিজ এবার কিছু ম্যাচ বেশি খেলতে পারে। জয়াবর্ধনে মোস্তাফিজকে নিয়মিত খেলাতে পারেন। তবে তাকে ধারাবাহিক ভালো খেলতে হবে। আইপিএল কঠিন একটি টুর্নামেন্ট। আর সাকিবের কথা বলব, ওকে না খেলানো দুর্ভাগ্যজনক। তার দুটি দিকই আছে—ব্যাটিং-বোলিং। আশা করি, সাকিবও নিয়মিত খেলার সুযোগ পাবে।’
সাকিবের হায়দরাবাদ আইপিএল-অভিযান শুরু করবে ৯ এপ্রিল। তবে কাল উদ্বোধনী ম্যাচেই নেমে পড়ছে মোস্তাফিজের মুম্বাই। আইপিএলে বাংলাদেশের খেলোয়াড়েরা যে ম্যাচ খেলেন, সেটিই সাধারণত দেখেন হাবিবুল। এবারও ব্যতিক্রম হবে না, তাঁর চোখ থাকবে শুধু সাকিব-মোস্তাফিজের ম্যাচের দিকে। এটা পুরো বাংলাদেশেরই চিত্র। তিন বছর ধরে বাংলাদেশের দর্শকদের কাছে আইপিএল মানে শুধুই সাকিব-মোস্তাফিজ।