আবার রানওয়ে থেকে ছিটকে পড়ল বিমান : কাঠমান্ডু বিমানবন্দর বন্ধ ঘোষণা
নেপালের ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে একটি মালয়েশীয় যাত্রীবাহী বিমান রানওয়ে চ্যুত হওয়ায় ১২ ঘণ্টা বন্ধ ছিল বিমানবন্দরের কার্যক্রম। ১৩৯ জন যাত্রী নিয়ে বিমানটি রানওয়ে থেকে উড্ডয়নের মুহূর্তে উড্ডয়ন বাতিল করে দেয়া হলে, বিমানটি ঘাসের মধ্যে ১০০ ফুট পিছলে কাদায় গিয়ে থামে।
ঘটনায় কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। তবে ফ্লাইট বাতিল হয়েছে শত শত যাত্রীর। পাশাপাশি বিমানবন্দরটিতে অবতরণ করার উদ্দেশ্যে আসা সব বিমান ভিন্ন ভিন্ন বিমানবন্দরে অবতরণের জন্য ঘুরিয়ে দেয়া হয়েছে। ঘটনার ১২ ঘণ্টারও বেশি সময় পর শুক্রবার বিমানটি সরিয়ে নেয়া হলে পুনরায় কার্যক্রম চালু করে কর্তৃপক্ষ।
মালিন্দো এয়ার বোয়িং ৭৩৭ মডেলের বিমানটি বৃহ¯পতিবার শেষের দিকে রানওয়ে থেকে সরে যায়। বিমানবন্দর মুখপাত্র প্রেমনাথ ঠাকুর বলেন, বিমানটি রানওয়েতে উড্ডয়নের জন্য গতি অর্জন করছিল। কিন্তু তখনই পাইলটরা একটি সমস্যা শনাক্ত করতে পারায় তৎক্ষণাৎ উড্ডয়ন বাতিল করে দেয়া হয়। বিমানটি অর্জিত গতিতে রানওয়ে থেকে পেছলে গিয়ে ১০০ ফুট দূরের কাদায় গিয়ে থামে। ঠাকুর জানিয়েছেন, বিমানটির সব যাত্রী নিরাপদ আছেন। তবে ঠিক কী সমস্যার কারণে পাইলটরা এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তা তাৎক্ষণিক জানা যায়নি। ঠাকুর আরো বলেন, শুক্রবার, মধ্য-দুপুরে আগ মুহূর্তে কোনো প্রকার ক্ষতি ছাড়াই বিমানটি সরিয়ে নেয়ার পর পুনরায় নেপালের একমাত্র আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্যক্রম পুনরায় চালু হয়।
বিমানবন্দরের এক অপেক্ষমাণ যাত্রী ছিলেন মার্কিন নাগরিক সারাহ অ্যান লরেথ। তিনি দোহা যাচ্ছিলেন। সেখান থেকে তার নিজবাড়ি বোস্টনে যাওয়ার কথা ছিল তার। কিন্তু তেমনটি হয়নি। তিনি বলেন, আমাদের বৃহস্পতিবার (দোহা থেকে) রওনা দেয়ার কথা ছিল। কিন্তু ‘ মালয়েশিয়া ফ্লাইটটির’ কারণে তা সম্ভব হয়ে ওঠেনি। রাত ২টার দিক বিমানের দুইজন কর্মী আমাদের জানান যে, একটি বিমান রানওয়ে চ্যুত হয়ে কাদায় আটকে আছে এবং সেটি সরানো যাচ্ছে না। তারা প্রায় ২.৩০ এর দিকে আমাদের অন্য একটি বিমানে ওঠিয়ে দেয়। এটা ছিল চরম বিশৃঙ্খল একটা অবস্থা। আমরা পুনরায় টার্মিনালে গেলাম। তারা আমাদের ব্যাগ কাউন্টারের পেছনে সাজিয়ে রেখেছিল। আমরা কেবল সেখান থেকে সেগুলো নিয়েই রওনা দেই।
উল্লেখ্য, এক মাস আগে বিমানবন্দরটিতে ইউএস বাংলা এয়ারওয়েজের একটি বিমান বিধ্বস্ত হয়ে ৫১ জন মানুষ প্রাণ হারান। নিহতদের মধ্যে ২৬ জন বাংলাদেশী ছিলেন। এর আগে ২০১৫ সালের মার্চ মাসে তুর্কি এয়ারলাইনসের একটি বিমান অবতরণের সময় পিছলে গিয়ে রানওয়ে চ্যুত হয়। ওই ঘটনার পর বিমানবন্দরটি টানা চার দিন বন্ধ ছিল।