সিরিয়ার বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপ: যাচাই করছে যুক্তরাষ্ট্র
মার্কিন নৌবাহিনীর নিয়ন্ত্রিত-ক্ষেপণাস্ত্রবাহী যুদ্ধজাহাজ ইউএসএস ডোনাল্ড কুক থেকে ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হচ্ছে। ছবি: মার্কিন নৌবাহিনী
বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত দৌমায় কথিত রাসায়নিক হামলার প্রতিক্রিয়ায় সিরিয়ার বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপ নেওয়ার ‘সব বিকল্প টেবিলে ওপর আছে’ বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
পশ্চিমা নেতারা সিরিয়ার বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপ নেওয়ার বিষয়টি যাচাই করে দেখছেন বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বিবিসি।
হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র সারাহ স্যান্ডার্স জানিয়েছেন, সামরিক হামলা চালানোর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি, কিন্তু রাসায়নিক হামলার জন্য রাশিয়া ও সিরিয়াকে দায়ী বলে ভাবছে যুক্তরাষ্ট্র।
বুধবার সন্ধ্যায় এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, “নিষ্পত্তি করার মতো অনেকগুলো বিকল্প প্রেসিডেন্টের কাছে আছে, আর টেবিলেও অনেক বিকল্প রয়েছে। আমরা এখনও কোনো পরিকল্পনা গ্রহণ করিনি।”
এর আগে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প রাশিয়াকে সতর্ক করে যা বলেছিলেন এই মন্তব্য তার থেকে একটু সরে যাওয়া বলে প্রতীয়মান হয়েছে বলে ভাষ্য বিবিসির।
বুধবার সকালে এক টুইটে ট্রাম্প বলেছিলেন,“রাশিয়া তৈরি হও, কারণ তারা আসছে, তারা সুন্দর, নতুন এবং ‘স্মার্ট!’”
বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে হতে যাচ্ছে। সেখানে সিরিয়ার বিষয়টি প্রাধান্য পাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সন্দেহভাজন রাসায়নিক হামলার প্রতিক্রিয়ায় সামরিক হামলা চালানোর বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্স সমন্বিতভাবে কাজ করতে সম্মত হয়েছে। দেশগুলো সিরিয়ায় সামরিক হামলা চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে ধারণা আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের।
হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, কখন সামরিক হামলা চালানো হবে তার সুনির্দিষ্ট কোনো সময় নির্ধারণ করেননি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী জেমস ম্যাটিস জানিয়েছেন, রাসায়নিক হামলার বিষয়টি এখনও পরীক্ষা করে দেখছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে জানিয়েছেন, যদি ট্রাম্প সিদ্ধান্ত নেন তাহলে হামলা চালানোর জন্য সামরিক বাহিনী প্রস্তুত।
এই মূহুর্তে সিরিয়া সংলগ্ন ভূমধ্যসাগরে মার্কিন নৌবাহিনীর নিয়ন্ত্রিত-ক্ষেপণাস্ত্রবাহী যুদ্ধজাহাজ ইউএসএস ডোনাল্ড কুক মোতায়েন আছে।
সিরিয়ায় সম্ভাব্য হামলা নিয়ে আলোচনার জন্য ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টেরিজা মে মন্ত্রীসভার বৈঠক ডেকেছেন।
পার্লামেন্টের সম্মতি প্রথমে না নিয়েই সামরিক পদক্ষেপে যোগ দিতে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী মে ‘প্রস্তুত বলে মনে হচ্ছে’, বিবিসিকে এমনটি জানিয়েছেন যুক্তরাজ্য সরকারের কয়েকটি সূত্র।
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই প্রতিক্রিয়ায় বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিবেন বলে জানা গেছে। সিরিয়ায় কোনো হামলা চালানো হলে তা সিরীয় সরকারের ‘রাসায়নিক স্থাপনাগুলোতে’ চালানো হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
এদিকে জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তনিও গুতেরেস ‘পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে’ বলে সবাইকে সতর্ক করেছেন।