অ্যাথলেটিকো আসলেই কুপোকাত রিয়াল
অ্যাথলেটিকো মাদ্রিদকে হারানোর স্বাদ ভুলে গেছে রিয়াল মাদ্রিদ। বিশেষ করে লা লিগায় ঘরের মাঠে। অ্যাথলেটিকো মাদ্রিদকে সান্তিয়াগো ব্যার্নাব্যু'তে সর্বশেষ হারানোর স্বাদ যারা পেয়েছেন তাদের মধ্যে বর্তমান রিয়াল দলে আছেন কেবল ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো, করিম বেনজেমা এবং সার্জিও রামোস। বাকিদের মধ্যেও কেউ কেউ সিমিওনের দলকে হারানোর স্বাদ নিয়েছেন তবে তা লা লিগায় না অন্য প্রতিযোগিতায়।
রিয়ালের সেবারের দলের অধিনায়ক ছিলেন ইকার ক্যাসিয়াস। হাজারতম ম্যাচ খেলা জীবন্ত এই কিংবদন্তি এখন খেলছেন পোর্তোর হয়ে। ২০১২ সালের পরে আর অ্যাথলেটিকো মাদ্রিদকে লা লিগায় নিজেদের দর্শকদের সামনে হারাতে পারেনি লস ব্লাঙ্কোসরা। এরমধ্যে সর্বশেষ চার ম্যাচে সিমিওনের দল সান্তিয়াগো ব্যার্নাব্যু থেকে জয় নিয়ে ফিরেছে তিন ম্যাচে। বাকি একটি ম্যাচ ড্র হয়েছে।
এই সময়ের মধ্যে রিয়ালে অনেক কিছু বদলেছে। আটজন খেলোয়াড় দল ছেড়েছেন। অনেকগুলো ট্রফি জিতেছে রিয়াল মাদ্রিদ। এমনকি রোনলদোও ছুঁয়েছেন এত্তোএত্তো রেকর্ড। বদলায়নি শুধু অ্যাথলেটিকোর বিপক্ষে রিয়ালের খেলার ফলাফল। সর্বশেষ যখন রিয়াল অ্যাথলেটিকো মাদ্রিদকে হারায় তখন রোনালদোর ব্যালন ডি'অর ছিল মাত্র একটি। এখন রোনালদোর শো'কেসে ব্যালন ডি'অর আছে পাঁচটি।
সে সময় রিয়ালের এখনকার থেকে ১২ টি ট্রফি কম ছিল। এই সময়ের মধ্যে রিয়াল তিনটি চ্যাম্পিয়নস ট্রফি ঘরে তুলেছে। লা লিগার শিরোপা জিতেছে একটি। ক্লাব বিশ্বকাপ তিনটি। ইউরোপা সুপার কাপ তিনটি। এছাড়া একটি করে কোপা ডেল রে এবং স্প্যানিশ সুপার কাপ ঘরে তুলেছে দলটি।
সমর্থকরা ভাবতেই পারেন তাদেরকে না হারিয়েছে যেহেতু রিয়াল এতোগুলো ট্রফি ঘরে তুলেছে। তবে তাদের আর হারানোর দরকার কী? কিন্তু দলটি তো রিয়াল মাদ্রিদ। শুধু ট্রফি জিতেই যারা থেমে থাকতে চায় না। বিশ্বের সেরা ক্লাবের মতো দাপট দেখানোও চায় তাদের। তাছাড়া অ্যাথলেটিকোর বিপক্ষে হারলে লিগে চার নম্বরে চলে যেতে পারে তারা। সব মিলিয়ে অ্যাথলেটিকোর বিপক্ষে মাদ্রিদ ডার্বির ম্যাচটা রিয়ালের জন্য অনেক গুরুত্বের।