৯০০ বছরের খরাই কি শেষ করেছিল সিন্ধু সভ্যতা! কী বলছে গবেষণা
ব্রিটিশ প্রত্নতত্ত্ববিদ মর্টিমার হুইলারের মতে, সিন্ধু সভ্যতার পতনের মূল কারণ ছিল মধ্য এশিয়ার আর্য-আক্রমণ। কিন্তু সদ্য প্রকাশিত গবেষনার এক তথ্য বলছে অন্যেয কথা!
বিশ্বের প্রাচীনতম তিন সভ্যতার সর্ববৃহৎ সিন্ধু সভ্যতা শুরু হয়েছিল আনুমানিক খ্রিস্টপূর্ব ৩৩০০ সালে। ইতিহাস মতে, সভ্যতার শেষ হয় মোটামুটি খ্রিস্টপূর্ব ১৩০০ সালে।
ব্রিটিশ প্রত্নতত্ত্ববিদ মর্টিমার হুইলারের মতে, সিন্ধু সভ্যতার পতনের মূল কারণ ছিল মধ্য এশিয়ার আর্য-আক্রমণ। কিন্তু, সদ্য প্রকাশিত এক তথ্যে বলা হয়েছে যে, সিন্ধু সভ্যতা শেষ হয়ে গিয়েছিল জলের অভাবে। এমনই দাবি আইআইটি খড়্গপুরের বিজ্ঞানীদের।
সর্বভারতীয় এক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুয়ায়ী, নদীকেন্দ্রিক সিন্ধু সভ্যতার থেকে বাসিন্দারা আস্তে আস্তে ছড়িয়ে গিয়েছিলেন বর্তমান ভারতের নানা স্থানে।
সিন্ধু নদীর পাড় ঘেঁষেই বেড়ে উঠেছিল প্রাচীন এই সভ্যতা। কিন্তু প্রকৃতির নিয়মে, নদী এক সময়ে তার পথ বদল করে। আরও দুই নদীর কথা উল্লেখিত হয় এই সভ্যতার সঙ্গে— ঘাগর ও হাকরা, যে দু’টি পরিপূর্ণ হয়ে উঠত বর্ষাকালে।
গবেষকদের মতে, টানা প্রায় ৯০০ বছর অল্প পরিমাণ বৃষ্টির ফলেই খরা দেখা দিয়েছিল সিন্ধু সভ্যতার। এবং তা বিশাল আকার নেয় শেষ ২০০ বছরে। স্বাভাবিকবাবেই, সিন্ধুবাসীর অনেকাংশই চলে যান পূর্ব দিকে, গঙ্গার পাড়ে।
আইআইটি খড়্গপুরের বিজ্ঞানীরা গত ৫০০০ বছরের বৃষ্টিপাতের রেকর্ড নিয়ে গবেষণা করছেন। কোন সময়ে বৃষ্টির পরিমাণ কম ছিল, তা নিয়ে গবেষণায় উঠে এসেছে নানা তথ্য। সেখান থেকেই জানা গিয়েছে যে, ৪৩৫০ আগে, আনুমানিক খ্রিস্টপূর্ব ২৩৫০ থেকে ১৪৫০ সাল পর্যন্ত, বৃষ্টির সমস্যায় ভুগতে হয়েছিল সিন্ধুবাসীদের।
আইআইটি খড়্গপুরের ভূতত্ত্ব বিভাগের প্রধান গবেষক অনিলকুমার গুপ্ত জানিয়েছেন, ওই খরার ফলেই, সিন্ধু নদের মানুষ চলে আসেন গঙ্গা-যমুনা উপত্যকায়। উত্তরপ্রদেশের পূর্ব ও মধ্য ভাগ, বিহার, বাংলা এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য।