সেনা পাঠানোর বিরুদ্ধে ফ্রান্সকে তুরস্কের হুঁশিয়ারি

সেনা পাঠানোর বিরুদ্ধে ফ্রান্সকে তুরস্কের হুঁশিয়ারি
সিরিয়ার ক্রমবর্ধমান ফরাসি সেনা উপস্থিতির বিরুদ্ধে ফ্রান্সকে হুঁশিয়ার করে দিয়েছে তুরস্ক। শনিবার আঙ্কারা বলেছে, সিরিয়া এমন যেকোনো পদক্ষেপকে ‘বাইরের হস্তক্ষেপ’ হিসেবে বিবেচনা করবে তারা। প্যারিস ও আঙ্কারর মধ্যে উত্তেজনার মধ্যেই এ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করল তুরস্ক।

গত বৃহস্পতিবার ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ সিরিয়ার বিদ্রোহীদের দল সিরিয়ার ডেমোক্র্যাটিক ফোর্সের (এসডিএফ) একটি প্রতিনিধিদলের সাথে বৈঠক করেন। সন্ত্রাসী সংগঠন এসডিএফ মূলত কুর্দি ও আরব যোদ্ধাদের একটি সশস্ত্র সংগঠন। বৈঠকের পর কুর্দি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মানবিজে নতুন করে সেনা পাঠানোর পরিকল্পনা করছে ফ্রান্স। মানবিজ শহরটি বর্তমানে কুর্দিপন্থী ওয়াইপিজির নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তুরস্কে সহিংস কর্মকাণ্ডের জন্য এই গোষ্ঠীটিকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে গণ্য করে তুরস্ক সরকার। এ ঘটনার পর থেকে প্যারিস ও আঙ্কারার মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধি পেয়েছে যদিও মানবিজে সেনা পাঠানোর বিষয়টি স্বীকার করেনি ফ্রান্স।

এমন পরিস্থিতিতে শনিবার তুর্কি প্রতিরক্ষামন্ত্রী নুরুদ্দিন কানিকলি বলেন, ‘ফ্রান্স যদি উত্তর সিরিয়ার তাদের সেনা পাঠানোর কোনো পদক্ষেপ নেয়, সেটি হবে আন্তর্জাতিক আইনে একটি অবৈধ পদক্ষেপ এবং সেটিকে এই অঞ্চলে বাইরের হস্তক্ষেপ হিসেবে বিবেচনা করা হবে।’

সিরিয়া সঙ্ঘাত দৌমা ছাড়তে সরকারের সাথে বিদ্রোহীদের চুক্তি
আলজাজিরা

সিরিয়ার পূর্ব গৌতায় অবস্থানরত সর্বশেষ বিদ্রোহী গ্রুপ জইশ আল ইসলাম এলাকাটি ছেড়ে চলে যাওয়ার বিষয়ে সরকারি বাহিনীর সাথে চুক্তি করেছে বলে জানিয়েছে দেশটির রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সানা।
গৌতা এলাকার সবচেয়ে বড় শহর দৌমার নিয়ন্ত্রণ এখনো জইশুল ইসলামের হাতে। সংস্থাটি এখনো এই চুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেনি। তবে গত শনিবার সংস্থাটি জানিয়েছে তারা, আহতদের ইদলিবে সরিয়ে নেয়ার বিষয়ে সম্মত হয়েছে। গৌতার পার্শ্ববর্তী অঞ্চল উত্তর-পশ্চিম সিরিয়ার ইদলিব প্রদেশ। এই অঞ্চলটিও এক সময় বিদ্রোহীদের শক্ত ঘাঁটি ছিল। বেশ কিছু দিন ধরেই পূর্ব গৌতার বিদ্রোহীদের সাথে সরকারি বাহিনীর চুক্তির বিষয়ে মধ্যস্থতা করছে রাশিয়া। মূলত বিদ্রোহীদের এলাকাটি ছেড়ে চলে যাওয়াই এসব চুক্তির একমাত্র শর্ত।

বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত পূর্ব গৌতায় এক মাসেরও বেশি সময় ধরে হামলা চালাচ্ছে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের সেনাবাহিনী ও তাদের মিত্র ইরান ও রাশিয়া। বিশেষ করে রাশিয়ার বিমানবাহিনী আকাশ থেকে নির্বিচারে বোমা ফেলেছে বেসামরিক লোকদের ওপর। সর্বাত্মক এই হামলার ফলে পূর্ব গৌতার বিদ্রোহীরা কোণঠাসা হয়ে পড়ে এবং একে একে এলাকাটি ছেড়ে চলে যেতে থাকে।

এ দিকে এএফপি জানিয়েছে, ব্রিটেনভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস জানায়, ‘ইদলিবে যেতে ইচ্ছুক কয়েক শ’ বেসামরিক লোককে সেখানে যাবার সুযোগ করে দিতে একটি আংশিক চুক্তি হয়েছে।’
সংস্থাটির প্রধান রামি আবদুর রহমান বলেন, ‘একটি সম্পূর্ণ চুক্তির জন্য আলোচনা অব্যাহত রয়েছে।’