রোহিঙ্গা ইস্যুতে ভারতের আচরণে বাংলাদেশ খুশি : পররাষ্ট্র সচিব

রোহিঙ্গা ইস্যুতে ভারতের আচরণে বাংলাদেশ খুশি : পররাষ্ট্র সচিব

পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হক বলেছেন, রোহিঙ্গা ইস্যুতে ভারতের সাম্প্রতিক আচরণে বাংলাদেশ খুশী।  আমাদের বুঝতে হবে প্রতিটি দেশের নিজস্ব বাধ্যবাধকতা থাকে, অগ্রাধিকার থাকে।  তিনি বলেন, ভারতের সাবেক পররাষ্ট্র সচিব এস জয়শংকর সম্প্রতি রাখাইন সফর করে বাড়ি নির্মাণের জন্য চুক্তি স্বাক্ষর করেছেন।  এটি রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ার অংশ। ভারতের নতুন পররাষ্ট্র সচিব বিজয় কেশব গোঘালে এ মাসে ঢাকায় আসছেন।  তার সাথে এ বিষয়ে আমার খোলামেলা আলোচনা হবে।

সোমবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে জেনোসাইড স্টাডিস আয়োজিত রোহিঙ্গা বিষয়ক এক আন্তর্জাতিক সেমিনারে পররাষ্ট্র সচিব এ সব কথা বলেন।  তিনি জানান, মিয়ানমারের একজন মন্ত্রী এ মাসে ঢাকা আসছেন।  তিনি কক্সবাজার সফর করতে সম্মত হয়েছেন। আমরা তাকে নাইক্ষ্যংছড়ি নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছি।

বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের জিরো লাইনে প্রায় পাঁচ হাজার রোহিঙ্গা অবস্থান করছেন উল্লেখ করে শহীদুল হক বলেন, তাদের ভয়ভীতি দেখানো হয়েছে, অত্যাচার করা হয়েছে। কিন্তু তারা বাংলাদেশে প্রবেশ করেনি।  মিয়ানমারের সাথে আলোচনায় আমরা বলেছিলাম, যে সব রোহিঙ্গা মিয়ানমার সীমানায় আছে তাদের ফিরিয়ে নিতে হবে। এতে মিয়ানমার রাজি হয়। আমরা সীমান্তে আটকা পড়া রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানোর জন্য একটি পদ্ধতি বের করার চেষ্টা করছি।

পররাষ্ট্র সচিব বলেন, রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয়ার জন্য সরকারের কাছে যে সব সুযোগ রয়েছে ভাসানচর তার একটি। আমরা সব অপশন বিবেচনা করছি। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় বলছে, কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলো অত্যন্ত ঘনবসতিপূর্ণ। আবার তারাই বলছে, রোহিঙ্গাদের অন্য জায়গায় সরানো যাবে না। তাহলে একটি অপশনই রয়ে যায় এবং সেটি হচ্ছে কক্সবাজারে যে বাংলাদেশীরা বাস করেন তাদের অন্য জায়গায় সরিয়ে নেয়া। এটাই কী আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় দেখতে চায়! তিনি বলেন, আমাদের কাছে এখন একটিই অপশন আছে এবং সেটি হচ্ছে রোহিঙ্গাদের একসাথে পাশাপাশি রাখা। ভাসানচর প্রস্তুত হলে আমরা হেলিকপ্টারে করে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে সেখানকার অবস্থা দেখানোর জন্য নিয়ে যাবো।