চীনা ঋণের ফাঁদে পাকিস্তান!

চীনা ঋণের ফাঁদে পাকিস্তান!
চীন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডোরের (সিপিইসি) অধীনে ঋণ হিসেবে পাকিস্তানে ১৮.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করেছে চীন। এ ঋণের পরিষ্কার কোনো হিসাব না থাকলেও বিশ্লেষকদের মতে, পাকিস্তানের ৯০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বৈদেশিক ঋণের মধ্যে ১৯ বিলিয়নই চীনের কাছ থেকে পাওয়া। জাপানকে অতিক্রম করে চীনই এখন পাকিস্তানের সবচেয়ে বড় ঋণদাতা। 

সিপিইসির অধীনে পাওয়া এসব ঋণের জন্য চড়া মূল্য পরিশোধ করতে হবে পাকিস্তানকে, এমনটাই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

পাকিস্তানের স্টেট ব্যাংকের হিসাব মতে, ২০১৩’র জুনে চীন-পাকিস্তানের এ দ্বীপাক্ষিক ঋণের পরিমাণ ছিল চার বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ২০১৭’র জুনে ঋণের পরিমাণ আগের চার বছরে প্রায় তিন বিলিয়ন বেড়ে দাঁড়ায় ৭.২ বিলিয়ন ডলার। 

দ্বিপাক্ষিক ঋণের বাইরেও ২০১৭ সাল পর্যন্ত পাকিস্তানের মুদ্রা বিনিময়ের পরিমাণ ১.৫ বিলিয়ন ডলার। ফলে ঋণের অংকটা আরও বেড়ে দাঁড়ায় ৮.৭ বিলিয়ন ডলারে। তাছাড়া চীনের সরাসরি বিনিয়োগকারীদের কাছে পাকিস্তানের ঋণ রয়েছে ৩.৫ বিলিয়ন ডলার। 

২০১৭ সালের এ পরিসংখ্যানটাকে ভিত্তি করে ২০১৭’র ডিসেম্বরের মধ্যে পাকিস্তানের মোট বৈদেশিক ঋণ ৮৩.১ বিলিয়ন থেকে ৮৮.৯ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে এবং তা বেড়েই চলেছে। এছাড়া চলতি বছরের ঋণের পরিমাণটা যোগ করলে সংখ্যা দাঁড়ায় প্রায় ১৯ বিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি।

বিশেষজ্ঞদের হিসাবে, এই ১৯ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে পাকিস্তানকে প্রায় ১০০ বিলিয়ন ডলার পরিশোধ করতে হতে পারে। সিপিইসির অধীনে পাকিস্তানের জ্বালানিখাতসহ ১৯টি প্রজেক্টে বিনিয়োগ করেছে চীন। এ বিনিয়োগটি বার্ষিক ৭ শতাংশ সুদসহ ২৫ থেকে ৪০ বছরে পরিশোধযোগ্য। অর্থাৎ ২০১৮ সাল থেকে পরবর্তী ৪৩ বছর প্রতিমাসে আনুমানিক ৭ থেকে ৮ বিলিয়ন ডলার পরিশোধ করতে হবে পাকিস্তানকে। 

বিশেষজ্ঞদের মতে, চীন-পাকিস্তান করিডোর (সিপিইসি) থেকে ভবিষ্যতে পাকিস্তানের লাভবান হওয়ার কথা থাকলেও পরিস্থিতি পাকিস্তানের অনুকূলে কথা বলছে না। বরং, সিপিইসির ওপর পাকিস্তানের নির্ভরশীলতা ও চীনের প্রতি অতি আস্থা ও নির্ভরতা  দেশটির অর্থনীতির জন্য