বিবিধ
আরো ৩ দিন বজ্রবৃষ্টি হবে!
আগামী তিন দিন বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি অব্যাহত থাকতে পারে।
আবহাওয়াবিদ এ কে এম নাজমুল হক বাসসকে বলেন, এরসাথে দেশে কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বৃষ্টি এবং শিলাবৃষ্টি হতে পারে।
তিনি বলেন, সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
আজ সকাল ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রংপুর রাজশাহী ও ময়মনসিংহের অনেক স্থানে স্থায়ীভাবে বিজলী চমকানোসহ বজ্র বৃষ্টি এবং হালকা থেকে মাঝারী ধরনের বৃষ্টি হতে পারে।
আজ সকাল ৬টায় বাতাসের আপেক্ষিক আর্দ্রতা ছিল ৮৪ শতাংশ।
আবহাওয়ার সিনপটিক অবস্থায় বলা হয়, পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ গাঙ্গেয় পশ্চিমঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমী স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।
ঢাকায় বাতাসের গতি দক্ষিণ/দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ১০-১৫ কি.মি. যা অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়ায় ঘণ্টায় ৪০-৫০ কি.মি.।
ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডবে বিধ্বস্ত শতাধিক ঘর, আহত ১০
ভোলায় ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ শতাধিক ঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। এছাড়াও ২টি মসজিদ, অর্ধশতাধিক ঘর আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত ও বেশ কিছু গাছপালা উপড়ে গেছে। এতে আহত হয়েছে অন্তত ১০ জন। বিনষ্ট হয়েছে ফসলি জমি।
আহতদের নাম-পরিচয় পাওয়া যায়নি। শুক্রবার সন্ধ্যায় ভোলা সদরের রামদাসপুর ও দৌলতখানের মদনপুর চরে ঝড়ে এসব ক্ষয়-ক্ষতি হয়।
মদনপুর ইউপি চেয়ারম্যান নাছির উদ্দিন নান্নু জানান, সন্ধ্যার কিছুক্ষন আগে হঠাৎ করেই মদনপুর উপর দিয়ে ঝড় প্রবাহিত হয়। এতে চরপদ্মা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, একটি মসজিদসহ সহ শতাধিক ঘর বিধ্বস্ত হয়েছে।
ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলো খোলা আকাশের নিচে আশ্রয় নিয়েছে। অপরদিকে ভোলা সদরের দুর্গম জনপদ রামদাসপুর এলাকায় ঘূর্ণিঝড়ের ৫টি ঘর এবং ১টি মসজিদ বিধ্বস্ত হয়েছে। রামদাসপুরের ব্যবসায়ী মোশারেফ এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
ভোলার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিক জানান, ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরির জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে। (১২ মে প্রকাশিত সংবাদ)