ফেসবুকে কোন কোন ছবি পোস্ট করবেন না, চুরি করছে পর্ন সাইট
মনের আনন্দে যে ছবি আপলোড করে বিস্তর লাইক আর কমেন্ট পেলেন, তা থেকে ঘনিয়ে আসতে পারে মহাবিপদ!
আজকের জীবন সোশ্যাল মাধ্যম দ্বারা নিয়ন্ত্রিত— একথা আর নতুন কী? দল বেঁধে রেস্তোঁরাতে খেতে যাওয়া হোক বা ছাদে একা বসে দিনযাপন। সবটাই আপলোড না করা পর্যন্ত শান্তি নেই। আর সেই আপলোডের হাত থেকে রেহাই নেই শিশুদেরও। কিন্তু জানেন কি, মনের আনন্দে যে ছবি আপলোড করে বিস্তর লাইক আর কমেন্ট পেলেন, তা থেকে ঘনিয়ে আসতে পারে মহাবিপদ। একটি সর্বভারতীয় ওয়েবসাইট ‘পেরেন্টসার্কেল.কম’-এ চিকিৎসক দেবারতি হালদারের লেখা একটি প্রতিবেদন থেকে জানা যাচ্ছে, সন্তানের বেশ কয়েক ধরনের ছবি কখনই আপলোড করা উচিত নয়। জেনে নিন কোন কোন ধরনের ছবির কথা বলা হয়েছে ওই প্রতিবেদনে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় স্তন্যপানের ছবি দেওয়া নিয়ে সাম্প্রতিক কালে প্রবল বিতর্ক চলছে। সেই বিতর্কের কথা মাথায় রেখেও বলা যায়, এই ধরনের ছবি দিলে নানা বিরূপ মন্তব্য মিলতে পারে। পাশাপাশি, সেই ছবি ব্যবহৃত হতে পারে পর্ন সাইটে।
অনেকেই সদ্যোজাত সন্তানের একেবারে নিরাবরণ ছবি সোশ্যাল মাধ্যমে আপলোড করে দেন। কিন্তু জানেন কি, এমন ছবি শিশু-পর্নের উপাদান হিসেবে ব্যবহৃত হতে পারে!
বাচ্চারা পার্ক বা অন্যত্র একসঙ্গে খেলার সময়ে তাদের ছবি তুলবার সময়ে খেয়াল রাখুন, যেন ছবিতে তাদের অন্তর্বাসের কোনও অংশ না দেখা যায়। এই ধরনের ছবিও পর্নোগ্রাফি সাইটে ব্যবহৃত হতে পারে।
একই ভাবে বাচ্চাদের স্নান করানোর ছবিও সোশ্যাল মাধ্যমে না আপলোড করাই ভাল। এমনকী, বাচ্চাদের তোয়ালে পরা ছবিও নৈব নৈব চ।
আজকাল সোশ্যাল মাধ্যমে ছবি দেওয়ার আহ্লাদে অনেকে এমনকী, শিশুদের শৌচকর্মের সময়ের ছবিও আপলোড করে দেন! মনে রাখবেন, আপনার শিশুও একদিন বড় হবে। তখন নিজের এমন ছবি সোশ্যাল দুনিয়ায় আবিষ্কার করলে তার প্রতিক্রিয়া কী হবে!
এছাড়াও বাচ্চাদের ঘুমন্ত অবস্থার ছবি বা ট্রায়াল রুমে কোনও পোশাক ট্রায়াল দেওয়ার সময়ের ছবিও কখনও সোশ্যাল মাধ্যমে আপলোড করবেন না।