আম্পায়াররা সিদ্ধান্ত নিতে না পারায় ম্যাচ বন্ধ ৪৫ মিনিট, হস্তক্ষেপ করতে হল সিএবি প্রেসিডেন্টকে

আম্পায়াররা সিদ্ধান্ত নিতে না পারায় ম্যাচ বন্ধ ৪৫ মিনিট, হস্তক্ষেপ করতে হল সিএবি প্রেসিডেন্টকে
৪৫ মিনিট বন্ধ থাকার পর শুরু হয় ম্যাচ। কালীঘাট ৮ উইকেটে জিতে ফাইনালে পৌঁছেছে।

ফের কাঠগড়ায় আম্পায়ারিং। সিনিয়র নক আউট টুর্নামেন্টের শেষ চারে মোহনবাগান-কালীঘাট ম্যাচে একটি আউটের সিদ্ধান্ত নিয়ে বিতর্ক এত দূর গড়াল যে, হস্তক্ষেপ করতে হল সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে। ৪৫ মিনিট বন্ধ থাকার পর শুরু হয় ম্যাচ। কালীঘাট ৮ উইকেটে জিতে ফাইনালে পৌঁছেছে।

সল্ট লেকে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মাঠে মোহনবাগান ১৫১ রানে অল আউট হয়ে যায়। বিতর্কের সূত্রপাত কালীঘাট ইনিংসের চতুর্থ ওভারে। প্রীতম চক্রবর্তীর বল অভিমন্যু ঈশ্বরণের ব্যাটে লেগে স্লিপে দাঁড়ানো অরিন্দম ঘোষের হাতে গেলে আউটের আবেদন করেন মোহনবাগানের ক্রিকেটারেরা। আম্পায়ার অভিজিৎ ভট্টাচার্য সিদ্ধান্ত নিতে পারেননি। ক্যাচটা পরিচ্ছন্নভাবে ধরা হয়েছিল কি না, তা জানতে তিনি লেগ আম্পায়ার ইন্দ্রনীল চক্রবর্তীর শরণাপন্ন হন। লেগ আম্পায়ার জানান, তিনিও নাকি স্পষ্টভাবে দেখতে পাননি। পর্যবেক্ষক সঞ্জয় ভট্টাচার্যর সঙ্গে আলোচনার পরেও আম্পায়াররা সিদ্ধান্ত না নেওয়ায় মোহনবাগান ক্রিকেটারেরা মাঠ ছেড়ে বেরিয়ে আসেন বলে অভিযোগ। কালীঘাট শিবির থেকে এ-ও বলা হচ্ছে যে, মোহনবাগানের কয়েকজন কর্তা মাঠের মধ্যে ঢুকে পড়েছিলেন। বাগানের ক্রিকেট-সচিব সম্রাট ভৌমিক বললেন, ‘‘আম্পায়াররা সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছেন দেখে আমিই সিএবি প্রেসিডেন্টকে ফোন করি। সৌরভ দুই আম্পায়ারের সঙ্গে কথা বলার পর ওভার সংখ্যা না কমিয়েই খেলা শুরু হয়।’’ অভিমন্যু ৭৬ রান করেন। সৌরভের হস্তক্ষেপে ঝামেলা মিটলেও প্রশ্ন উঠছে, এত গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে আম্পায়াররা ক্যামেরা ব্যবহার করলেন না কেন!