ভারতে ধূলিঝড় ও ঝড়বৃষ্টিতে অন্তত ৭২ জনের মৃত্যু

ভারতে ধূলিঝড় ও ঝড়বৃষ্টিতে অন্তত ৭২ জনের মৃত্যু
রাজ্যের আলওয়ার, ধোলপুর ও ভারতপুর জেলার ওপর দিয়ে ঝড়টি বয়ে যায়। ছবি: এনডিটিভি

ভারতে রাজস্থান রাজ্যের পূর্বাংশে শক্তিশালী ধূলিঝড়ে অন্তত ২৭ জন এবং উত্তর প্রদেশের পশ্চিমাংশে ব্যাপক ঝড়বৃষ্টিতে আরও অন্তত ৪৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।
বুধবার সন্ধ্যারাতের এসব প্রাকৃতিক দুর্যোগে আরও বহু লোক আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে এনডিটিভি।

ঝড় ও বজ্রপাতে ঘরবাড়ি ধসে পড়ে, গাছপালা উপড়ে যায় এবং বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে শঙ্কা কর্তৃপক্ষের।

উত্তর প্রদেশের শুধু আগ্রাতেই অন্তত ৩৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।  

“আগ্রা জেলায় ৩৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া সাহারানপুরে দুই জন, বেরেলি, রামপুর ও মুরাদাবাদে আরও তিন জনের মৃত্যু হয়েছে,” বলেছেন উত্তর প্রদেশের ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তা সঞ্জয় কুমার।

ঝড়ে আগ্রায় ও সাহারানপুরে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

রাজস্থান রাজ্যের পূর্বাঞ্চল দিয়ে বয়ে যাওয়া তীব্র ধূলিঝড়ে আলওয়ার, ধোলপুর ও ভারতপুর জেলা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

এসব জেলার ঘুমিয়ে থাকা লোকজনের ওপর ঘরের ছাদ ধসে পড়ে অধিকাংশের মৃত্যু হয়। ধোলপুরে বজ্রপাতে একটি গ্রামের ৪০টি মাটির ঘর পুড়ে যায়।

রাজধানী দিল্লি থেকে ১৬৪ কিলোমিটার দূরের আলওয়ারে গাছ উপড়ে পড়ে বৈদ্যুতিক খুঁটি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পর গত রাত থেকে জেলাটি বিদ্যুৎহীন অবস্থায় রয়েছে বলে জানা গেছে।

সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে ভারতপুর জেলায়। এখানে অন্তত ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে।

বুধবার দিল্লিতেও ধূলিঝড় ও পরে ভারি বৃষ্টিপাত হয়েছে। তবে দিল্লি থেকে তেমন কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।

আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে, স্থানীয় সময় বিকাল ৪টা ৪৫ মিনিটে হঠাৎ করে ঘন্টায় ৫৯ কিলোমিটার বাতাসের বেগ নিয়ে একটি ঝড় শহরটির ওপর আছড়ে পড়ে। হঠাৎ করে শুরু হওয়া এক ঝড়টি মাত্র কয়েক মিনিট স্থায়ী হলেও এতে দুটি আন্তর্জাতিক ফ্লাইটসহ ১৫টি ফ্লাইটের অবতরণ বিঘ্নিত হয়।

বুধবার রাজস্থানের কয়েকটি অংশে তীব্র দাবদাহ বয়ে যায়। এ সময় কোটা অঞ্চলের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪৫ দশমিক ৪ ডিগ্রি রেকর্ড করা হয়। রাজ্যটির বিভিন্ন অংশে ধূলিঝড়, দাবদাহ ও বজ্রসহ বৃষ্টিপাত হতে পারে বলে সতর্ক করেছে আবহাওয়া বিভাগ।

দুর্যোগে নিহতদের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করেছেন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সঙ্কট মোকাবিলায় রাজ্য সরকারগুলোকে সহায়তার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

উত্তর প্রদেশ ও রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রীদ্বয় প্রতিজন নিহতের পরিবারকে চার লাখ ও প্রতিজন আহতকে ৫০ হাজার করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।