হার হোক বা জিত— শাহরুখের কেকেআর-এর পকেটে ঢুকছে ১৫০ কোটি
আইপিএল যেন যথার্থ অর্থেই ক্রোড়পতি লিগ। বিনোদন, গ্ল্যামার, ক্রিকেট— এই পাঁচমিশেলি থিওরিতেই আইপিএল সুপারহিট।
বিনোদন আর গ্ল্যামারের ককটেল। আর তাতে কোটি কোটি টাকার ‘খেলা’। আইপিএল যেন যথার্থ অর্থেই ক্রোড়পতি লিগ। বিনোদন, গ্ল্যামার, ক্রিকেট— এই পাঁচমিশেলি থিওরিতেই আইপিএল সুপারহিট। সমালোচকরা প্রত্যেক বছরেই কোটি কোটি টাকা অর্থের ‘অপব্যবহার’ নিয়ে সরব হন। কিন্তু তাতে কিছুই এসে যায় না লিগ আয়োজক ও ফ্র্যাঞ্চাইজিদের।
জনপ্রিয়তার সঙ্গে সঙ্গেই এবার মুনাফাতেও নয়া নজির সৃষ্টি করল আইপিএল। সর্বভারতীয় প্রচারমাধ্যম সূত্রের খবর, চলতি ২০১৮ আইপিএল থেকে প্রতিটি ফ্র্যাঞ্চাইজি প্রায় ১৫০ কোটি টাকা আয় করতে চলেছে। এমনটা নয় যে এর আগেও মুনাফার অঙ্ক আকাশ ছোঁয়নি। বিশাল লাভের মুখ দেখেছে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো। তবে এই প্রথমবার প্রত্যেক ফ্র্যাঞ্চাইজি একই পরিমাণ অর্থ আয় করবে।
কী করে বিপুল এই আয়? জানা যাচ্ছে, কেকেআর, সানরাইজার্স, মুম্বই, চেন্নাই, রাজস্থান রয়্যালস, ডেয়ারডেভিলস, কিংস ইলেভেন, আরসিবি— সব দলগুলির স্পনশরশিপ থেকে আয় ৫৫-৬০ কোটি টাকা। নতুন স্পনসরের সৌজন্যে গত দু’বছরের তুলনায় স্পনসরশিপ থেকে উপার্জন বেড়েছে ৫৫৪ শতাংশ। আইপিএল-এর সম্প্রচারকারী হিসেবে স্টার যুক্ত হওয়ায় চলতি মরশুমের ভারতীয় বোর্ডের আয়ের অঙ্ক ১৭ হাজার কোটি টাকা ছুঁয়েছে।
জোড়া এই আয়ের সমীকরণেই ফুলে ফেঁপে উঠছে প্রত্যেক ফ্র্যাঞ্চাইজির কোষাগার। হিসেবে জানা যাচ্ছে, প্রতিটি ফ্র্যাঞ্চাইজির মোট লাভের পরিমাণ ১৯৪ কোটি টাকা। বোর্ডকে প্রাপ্য লভ্যাংশ দিয়েও প্রতি দলের কাছে থাকবে ১৫০ কোটি টাকার কাছাকাছি। সবমিলিয়ে, ক্রোড়পতি লিগের অন্য নাম যে আইপিএল— তা নিয়ে কোনও সন্দেহই নেই।