ঢাকায় ওআইসি পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সম্মেলন আজ

ঢাকায় ওআইসি পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সম্মেলন আজ
টেকসই শান্তি, সংহতি ও উন্নয়নের জন্য ইসলামী মূল্যবোধ- প্রতিপাদ্য নিয়ে বিশ্বের মুসলিম দেশগুলোর জোট ইসলামী সম্মেলন সংস্থার (ওআইসি) পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের ৪৫তম সম্মেলন আজ শনিবার শুরু হচ্ছে ঢাকায়। এবারের সম্মেলনে রোহিঙ্গা সংকট ইস্যুটি বিশেষ প্রাধান্য পাবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে দুই দিনব্যাপী এই সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন।

বাংলাদেশ ২৫ বছর পর ওআইসির পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সম্মেলনের আয়োজন করছে। ১৯৮৩ সালের ডিসেম্বরে তৎকালীন এরশাদ সরকারের সময়ে ঢাকায় পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের ১৪তম সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলন ঘিরে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে আয়োজনের সব প্রস্তুতি চূড়ান্ত করা হয়েছে। অতিথিদের উষ্ণ অভ্যর্থনায় বিমানবন্দর থেকে শুরু করে সম্মেলন কেন্দ্র, আবাসস্থল এবং যাতায়াতের পথ সাজানো হয়েছে বর্ণিল সাজে। নিরাপত্তার বিষয়টিও বিবেচনায় রাখা হয়েছে।

ঢাকায় এসেছেন ২৭ জন পররাষ্ট্রমন্ত্রী, ১২ জন প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রী পর্যায়ের প্রতিনিধি এবং ওআইসি প্রতিষ্ঠান ও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রধানসহ প্রায় ছয়শ প্রতিনিধি।
প্রথমবারের মতো অসদস্য ক্যানাডার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ডকে বিশেষ অতিথি হিসেবে আমন্ত্রণ করা হয়েছে ঢাকায় ৷ তিনি উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে থাকবেন ৷

বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেন, রোহিঙ্গা সংকট ঢাকায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলনে বিশেষভাবে স্থান পাবে৷ সম্মেলনকালে একটি বিশেষ অধিবেশনে এ বিষয়ে আলোচনা হবে৷ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের রেসপন্স, বিশেষ করে ওআইসিভুক্ত ইসলামি দেশগুলোর রেসপন্স, কীভাবে আরও জোরদার করা যায় সেটা নিয়ে আলোচনা হবে৷ সেখানে ক্যানাডার পররাষ্ট্রমন্ত্রীও বক্তব্য দেবেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, আমরা বিশ্বাস করি এই সম্মেলন আয়োজনের মাধ্যমে বাংলাদেশের গৃহীত উদ্যোগ, অভিজ্ঞতা ও অর্জনগুলো মুসলিম বিশ্বসহ বিশ্ব দরবারে তুলে ধরার সুযোগ সৃষ্টি হবে। এ ছাড়া এর মাধ্যমে শুধু ওআইসিতেই নয়, বিশ্বেও বাংলাদেশের ভাবমূর্তি বিনির্মাণ, স্বার্থ সংরক্ষণ ও বিশ্ব পরিমণ্ডলে স্বীয় কূটনৈতিক অবস্থানকে আরও সুসংহত করা সম্ভব হবে। এ ছাড়াও এরূপ একটি সম্মেলন আয়োজনের মাধ্যমে বাংলাদেশের অর্জিত সক্ষমতা এবং অভিজ্ঞতা ভবিষ্যতে বৃহৎ পরিসরে আরও আন্তর্জাতিক সম্মেলন আয়োজনের ক্ষেত্রে কাজে লাগবে। আমরা আশা করছি সম্মেলনটিতে আলোচ্য বিষয় সংক্রান্ত সব রেজ্যুলেশন, ঢাকা ঘোষণাপত্র এবং সংশ্লিষ্ট সিদ্ধান্তসমূহ আউটকাম ডকুমেন্ট হিসেবে গৃহীত হবে।