কোন বয়সে শিশুদের সোশ্যাল মিডিয়ায় অ্যাক্সেস দেওয়া উচিত?
শিশুদের হাতে স্মার্টফোন এখন একটা ট্রেন্ড মাত্র। দেখা যায়, অবসর সময় গল্পের বই কিংবা বাড়ির আঙিনায় খেলার বদলে তারা এখন ঘরের এক কোণে ট্যাব নিয়ে বসে থাকতেই বেশি পছন্দ করে। এতে বুদ্ধির অবক্ষয়, দৃষ্টি সমস্যাজনিত রোগের দিকে নজর দিচ্ছেন না অভিভাবকরা। ভারতে ‘নিরাপদ ইন্টারনেট দিবস’ পালন করা হয়। সেখানে শিশুদের স্মার্টফোন ব্যবহারের বয়সসহ নানা তথ্য নিয়ে একটি জরিপ প্রকাশ করা হয়।
চলুন তাহলে দেখে নেওয়া যাক, শিশুদের টেকনোলোজি ব্যবহারের ক্ষেত্রে তাদের অভিভাবকরা কী মত পোষণ করছেন।
জরিপের প্রথম প্রশ্নে জানতে চাওয়া হয়েছিল, শিশুদের সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারের ক্ষেত্রে সরকার ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বয়স বেঁধে দেওয়ার পক্ষে তাদের মতামত। জরিপে ৭৯ ভাগ অংশগ্রহণকারী এর পক্ষে সায় দিয়েছেন। ১৭ ভাগ এর পক্ষে বিপরীত মত পোষণ করেন। বাকি চার ভাগ কোনো মন্তব্য করেননি।
জরিপে বলা হয়, বিশ্বের অনেক দেশেই ১৩ বছর থেকেই শিশুরা মিথ্যা বয়স দিয়ে ফেসবুক আইডি ব্যবহার করে আসছে।
দ্বিতীয় প্রশ্নে তাদের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, শিশুদের সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করতে দেওয়ার উপযুক্ত বয়স কত হওয়া জরুরি। তাদের মধ্যে ১৬ ভাগ মনে করেন, শিশুদের ১৩ বছর থেকেই মিডিয়া ব্যবহার করতে দেওয়া হোক। ৩৬ ভাগ বলেন, ১৫ বয়স থেকে শিশুদের সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করতে দেওয়া উচিত।
১৮ বছর থেকে তাদের মিডিয়ায় অ্যাকাউন্ট থাকার পক্ষে ছিলেন অবশিষ্ট ৩৬ ভাগ। অন্যদিকে ১২ ভাগ মনে করেন, শিশুদের সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারের ক্ষেত্রে স্কুল ও সরকারের নাক না গলানোই ভালো।
একটি নির্দিষ্ট জনগোষ্ঠীকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, ১১-১৩ বছরের শিশুদের ফেসবুকে অ্যাকাউন্ট থাকা কতোটা যৌক্তিক। তাদের মধ্যে ৬১ ভাগ এর বিপক্ষে গিয়েছেন। ৩৪ ভাগ মনে করেন শিশুদের আইডি থাকার পক্ষে সায় দিয়েছেন। আর অবশিষ্ট পাঁচ ভাগ কোনো জবাব দিতে পারেননি।
অনেকেই আবার বলেছেন, শিশুদের সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার একটি নির্দিষ্ট বয়স বেঁধে দিতে সরকার মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠাগুলোতে প্রজ্ঞপন জারি করা জরুরি। এতে তাদের অভিভাবকরা অল্প বয়সেই শিশুদের হাতে স্মার্টফোন তুলে দেওয়ার ক্ষেত্রে আরও সচেতন হবে বলে তারা আশা করেন।