লিবিয়ায় নির্বাচন কমিশন সদরদফতরে ভয়াবহ হামলা, নিহত ১২

 উপমহাদেশ
লিবিয়ায় নির্বাচন কমিশন সদরদফতরে ভয়াবহ হামলা, নিহত ১২

নির্বাচন কমিশনের সদরদফতরে আত্মঘাতী হামলার পরের অবস্থা 
লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপোলিতে অবস্থিত নির্বাচন কমিশনের সদরদফতরে ভয়াবহ হামলা চালানো হয়েছে। এতে ১২ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরো অনেকে। বুধবারের এই হামলার দায় স্বীকার করেছে আইএস। বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।

একজন আত্মঘাতী বোমা বিস্ফোরণ ঘটায়। বাকিরা নির্বাচন কমিশনের সদরদফতরে ভারী অস্ত্র-সস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। পরে আগুন ধরিয়ে দেয়। চলতি বছর প্রথমবারের মতো এই ধরণের হামলা চালিয়েছে আইএস।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, তারা জাতীয় নির্বাচন কমিশনের সদরদফতর থেকে গুলির শব্দ শুনতে এবং ধোঁয়া উড়তে দেখতে পান।

নির্বাচন কমিশনের মুখপাত্র খালেদ ওমর রয়াটার্সকে জানায়, এই হামলায় তিনজন কর্মকর্তা ও চারজন নিরাপত্তারক্ষী নিহত হয়েছেন। পরে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় নিহতরে সংখ্যা ১২ জন বলে জানিয়েছে।

তিনি আরো বলেন, হামলাকারীদের তিনি দেখেছেন। এদের মধ্যে আত্মঘাতী হামলাকারী ছিলেন দু'জন।



শান্তিচুক্তির পরও দ. কোরিয়া ত্যাগ করবে না মার্কিন সেনারা

এএফপি ও রয়টার্স

উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়ার মাঝে শান্তিচুক্তির আভাস মিললেও এখনো দক্ষিণ কোরিয়াতে মার্কিন সেনারা অবস্থান করবে বলে জানিয়েছেন দক্ষিণ কোরীয় প্রেসিডেন্ট ভবনের মুখপাত্র ইউ কিয়ম। প্রেসিডেন্ট মুন জা ইনকে উদ্ধৃত করে তিনি বলেন, চুক্তির সাথে মার্কিন সেনাদের অবস্থানের কোনো সম্পর্ক নেই।

ইউ কিয়ম বলেন, ‘মার্কিন সেনারা দক্ষিণ কোরিয়ার সাথে সম্পর্কের কারণে আছে। উত্তর কোরিয়ার সাথে চুক্তিতে এর সম্পর্ক নেই। শুক্রবার ঐতিহাসিক আলোচনায় বসেছিলেন দুই কোরিয়ার নেতারা। সেই বৈঠকেই পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণের ব্যাপারে একমত হন তারা। কোরীয় সম্মেলনে পরমাণু নিরস্ত্রীকরণের বিষয়ে ঐকমত্যের ধারাবাহিকতায় এ মাসেই একটি পারমাণবিক পরীা কেন্দ্র বন্ধ করার ঘোষণা দেয় উত্তর কোরিয়া। তবে দণি কোরিয়া চায় এখনো মার্কিন সেনারা অবস্থান করুক। তারা দুই কোরিয়ার মধ্যে মধ্যস্থতা করার চেষ্টা করছে। একই কাজ করছে প্রতিবেশী পরাশক্তি চীন ও জাপানও।

বর্তমানে দক্ষিণ কোরিয়া ২৮ হাজার ৫০০ মার্কিন সেনা রয়েছে। উত্তর কোরিয়া অনেক দিন ধরেই দাবি জানাচ্ছে, তাদের যেন সরিয়ে নেয়া হয়। তবে গত সপ্তাহের বৈঠকে এই বিষয়ে কোনো ইঙ্গিত দেয়া হয়নি। ১৯৬৩ সালে কোরীয় যুদ্ধের পর থেকেই সেখান অবস্থান করছে মার্কিন সেনারা। এখনো যুদ্ধাবস্থাতেই আছে দুই কোরিয়া। তবে শুক্রবারের বৈঠকে দুই নেতারা এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। নেতারা জানান, আর যুদ্ধ চান না তারা। ১৯৫০’র দশক থেকে উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়া কৌশলগত যুদ্ধে লিপ্ত থাকলেও মুন ও পিয়ংইয়ংয়ের নেতা গত সপ্তাহে অনুষ্ঠিত এক যুগান্তকারী বৈঠকে ৬৫ বছর আগের অস্ত্রবিরতি শান্তি চুক্তির পরিবর্তে একটি স্থায়ী চুক্তির ব্যাপারে কাজ করতে সম্মত হন।

পরমাণু পরীক্ষা কেন্দ্র বন্ধ যাচাই

এদিকে উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক পরীক্ষা কেন্দ্র বন্ধের পরিকল্পনা যাচাই করতে জাতিসঙ্ঘের কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জা-ইন। মঙ্গলবার জাতিসঙ্ঘ মুখপাত্র একথা জানিয়েছেন। মুন সোমবার জাতিসঙ্ঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেসকে ফোন করে এ অনুরোধ জানান। উত্তর কোরিয়া এ মাসে তাদের পারমাণবিক পরীক্ষা কেন্দ্র বন্ধ করে দেয়ার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছেন এমন কথা দেশটির নেতা কিম জং উন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্টকে বলার মাত্র কয়েকদিন পর তিনি এ আহ্বান জানালেন।