ইসরাইল, ইরান ও ফিলিস্তিনে কী চায় যুক্তরাষ্ট্র?

বিবিধ
ইসরাইল, ইরান ও ফিলিস্তিনে কী চায় যুক্তরাষ্ট্র?

তেল আবিব থেকে দূতাবাস জেরুসালেমে স্থানান্তরে ট্রাম্পের সিদ্ধান্ত ফিলিস্তিনিদের বিক্ষুব্ধ করেছে। ইসরাইলের ৭০তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে দূতাবাসটি স্থানান্তরের পরিকল্পনা করা হয়েছে। জেরুসালেমকে ইসরাইলের রাজধানীর স্বীকৃতি দিয়ে ট্রাম্পের ঘোষণার মধ্য দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র সেখানে কয়েক দশকের নিরপেক্ষতা হারিয়েছে। এর মাধ্যমে দেশটি বেশিরভাগ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে পথ চলা শুরু করে।
১৪ মে সোমবার জেরুসালেমে মার্কিন কনস্যুলেট ভবনে ছোট পরিসরে দূতাবাসে কার্যক্রম শুরু করা হবে। পরে বড় ভবন নির্মাণ করে তেল আবিব থেকে সব কার্যক্রম জেরুসালেমে স্থানাস্তর করা হবে। দূতাবাস স্থানান্তর অনুষ্ঠানে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সরাসরি উপস্থিত না থাকলেও ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বক্তব্য দেবেন বলে আশা করছে ইসরাইল। অনুষ্ঠানে ইভাঙ্কা ট্রাম্প ও জেরার্ড কুশনার ছাড়াও মার্কিন অর্থমন্ত্রী স্টিভেন এমনুচিন ও সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন সুলিভান সেখানে উপস্থিত থাকবেন।

ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেন, দূতাবাস স্থানান্তর একটি উদযাপনের বিষয়। আর ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস একে শতাব্দীর চপেটাঘাত হিসেবে বর্ণনা করেছেন। ইউরোপীয় ইউনিয়ন যুক্তরাষ্ট্রের এই পদক্ষেপের চরম নিন্দা জানিয়েছে আর ইসরাইলে থাকা ইউরোপের বেশিরভাগ রাষ্ট্রদূত ওই অনুষ্ঠান বর্জন করেছেন। তবে হাঙ্গেরি, রোমানিয়া ও চেক রিপাবলিকলের রাষ্ট্রদূতসহ বেশ কিছু দেশের কূটনীতিকরা সেখানে উপস্থিত থাকতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে। ইউরোপের এই দেশগুলো ইউরোপীয় ইউনিয়নের ওই বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেনি।

এদিকে ইরানের সরকার পরিবর্তন করা যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান ট্রাম্প প্রশাসনের লক্ষ্য নয় বলে দাবি করেছেন হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বোল্টন। এর আগে ইরানের সরকার পরিবর্তনে যুক্তরাষ্ট্রের চাপ দেয়া উচিত বলে পরামর্শ দিয়েছিলেন তিনি। তিনি বলেন, বর্তমান প্রশাসনের লক্ষ্য হলো ইরান যাতে কখনওই পরমাণু অস্ত্র তৈরির কাছাকাছি না যেতে পারে তা নিশ্চিত করা।

বোল্টন বলেন, ‘এখন আমার অবস্থা হলো আমি প্রেসিডেন্টের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা। জাতীয় নিরাপত্তা সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী নই। তিনি (ট্রাম্প) সিদ্ধান্ত নেন আর আমি তাকে দেয়া আমার পরামর্শ নিজেদের মধ্যেই থাকে’।