পুতিনের শপথ অনুষ্ঠান আজ, সহিংসতার আশঙ্কায় গ্রেফতার সহস্রাধিক

ইউরোপ
পুতিনের শপথ অনুষ্ঠান আজ, সহিংসতার আশঙ্কায় গ্রেফতার সহস্রাধিক
চতুর্থ মেয়াদে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট হিসেবে আজ সোমবার শপথ নেবেন ভ্লাদিমির পুতিন। গেলো মার্চে নির্বাচনে জয়ী হওয়ার তিন সপ্তাহের বেশি সময় পর পুতিনের এই শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ১৮ বছর ধরে পুতিন রাশিয়ায় প্রেসিডেন্ট বা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ক্ষমতায় আছেন।

শনিবার রাজধানী মস্কোসহ রাশিয়ার অন্যান্য শহরে দাঙ্গা পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষ হয়েছে। তাই সোমবার পুতিন যখন শপথ নেবেন তখন নতুন করে সহিংসতার আশঙ্কা করা হচ্ছে।

এবারের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে ২০১২ সালের মতো হাইপ্রোফাইল ব্যক্তিদের উপস্থিতি দেখা যাবে না। বরং মার্চে যারা পুতিনের হয়ে প্রচার-প্রচারণা চালিয়েছেন সেই সব স্বেচ্ছাসেবীদের সঙ্গে তিনি দেখা করবেন বলে কথা রয়েছে।

শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানকে ঘিরে দেশটির ১৯টি শহর থেকে ১  হাজারের বেশি মানুষকে গ্রেফতার করেছে নিরাপত্তা বাহিনী। যাদের প্রায় অর্ধেকই মস্কো থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ১৬০০ নেতাকর্মীকে পুলিশ আটক করেছে বলে জানিয়েছে রয়টার্স।

চলতি বছরের ১৮ মার্চ যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে সেখানে পুতিন ৭৬ শতাংশের বেশি ভোট পেয়েছেন। যা তার সর্বোচ্চ নির্বাচনী সাফল্য। যদিও আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকরা নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপি ও অনিয়মের অভিযোগ তুলেছে।

এমনকি পুতিনের বিরোধী হিসেবে পরিচিত শক্ত প্রতিপক্ষ অ্যালেক্সেই নাভালনিকে নির্বাচনে দাঁড়াতে দেয়া হয়নি। এদিকে শনিবার অননুমোদিত বিক্ষোভে অংশ নেয়ার জন্য নাভালনিকে অল্প সময়ের জন্য গ্রেপ্তার করে নিরাপত্তা বাহিনী।

পুতিনের ‘স্বৈরতান্ত্রিক, জারের মতন শাসনের’ বিরোধিতা করতে রাশিয়ার ৯০টিরও বেশি শহরে নাভালনি এ বিক্ষোভের ডাক দিয়েছিলেন। আটক হওয়ার আগে মস্কোর কেন্দ্রস্থলে সমর্থকদের উদ্দেশে বক্তৃতাও করেছিলেন বিরোধীদলের এ নেতা, নেতৃত্ব দিয়েছিলেন ‘জারের পতন চাই’ স্লোগানেও। ‘তারা বলে এই শহর নাকি পুতিনকে ধারণ করে। তারা কি ঠিক বলেন? আপনাদের কি একজন জার প্রয়োজন?’ সমর্থকদের উদ্দেশে ছুড়ে দেয়া নাভালনির এই প্রশ্নের উত্তরে গর্জনের মতো প্রত্যুত্তর আসে, ‘না’।

চলতি বছরের মার্চের নির্বাচনে বিপুল ভোটে পুনর্নির্বাচিত হয়ে আরো ৬ বছরের জন্য রাশিয়ার ক্ষমতায় থাকছেন ভ্লাদিমির পুতিন। মেয়াদ শেষ করতে পারলে ২৪ বছর রাশিয়ার ক্ষমতায় থাকার গৌরব অর্জন করবেন তিনি, যা হবে সোভিয়েত আমলের নেতা জোসেফ স্ট্যালিনের পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সময় রাশিয়ার ক্ষমতায় থাকার রেকর্ড।