ট্রফি চেন্নাইয়ের, ওয়াটসনের ব্যাটে ধোনিই ‘মুকদ্দর কা সিকান্দর’

ট্রফি চেন্নাইয়ের, ওয়াটসনের ব্যাটে ধোনিই ‘মুকদ্দর কা সিকান্দর’
প্রথম দশ বলে কোনও রান না করতে পারা ওয়াটসনই বিস্ফোরক ব্যাটে জয় এনে দিলেন ধোনিকে।

তৃতীয় বারের জন্য আইপিএল ট্রফি হাতে তুললেন মহেন্দ্র সিংহ ধোনি। চেন্নাইয়ের খেতাব জয়ের হ্যাটট্রিকের দিনে আরও একবার প্রমাণিত হল ধোনিই ভারতীয় ক্রিকেটের ‘মুকদ্দর কা সিকান্দর’। মুম্বইয়ের ওয়াংখেড়েতে শেষ হাসি চেন্নাইয়েরই। ধোনিকে নামতেই হল না। জিতে গেল চেন্নাই।

টসে জিতে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন অধিনায়ক ধোনি। সানরাইজার্স প্রথমে ব্যাট করে তুলেছিল ৬ উইকেটে ১৭৮। হায়দরাবাদের অধিনায়ক উইলিয়ামসন ৩৬ বলে  করেন ৪৭। ইউসুফ পাঠান অপরাজিত থাকেন ২৫ বলে ৪৫ রানে। 

ব্যাট করতে নেমে শুরুটা মোটেই ভাল হয়নি চেন্নাইয়ের। ডুপ্লেসিস ও ওয়াটসন একেবারেই স্কোরবোর্ডকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারছিলেন না। ওয়াটসন তো প্রথম দশ বলে কোনও রানই করতে পারেননি! কে জানত, অভিজ্ঞ অস্ট্রেলিয়ানই একা শেষ করে দেবেন ম্যাচ। তিন নম্বর ওভারের শেষ বলে ডুপ্লেসিস (১১ বলে ১০) আউট হন। চেন্নাই তখন ১৬/১। এর পরই হাত খোলেন ওয়াটসন। রায়নাও তাঁকে যোগ্য সঙ্গত দেন। 



রায়না-ওয়াটসনের পার্টনারশিপ যত এগোতে থাকে তত যেন চওড়া হতে থাকে ডাগ আউটে বসে থাকা ধোনির হাসি। ম্যাচের ১৩ নম্বর ওভারে যখন ওয়াটসন ছক্কার হ্যাটট্রিক-সহ ২৭ রান তুলে নিলেন তখন চেন্নাইয়ের সমর্থকদের উচ্ছ্বাসে মনে হচ্ছিল মুম্বইয়ের সমুদ্রের শব্দই যেন গ্যালারিতে ফুটে উঠছে। 

অথচ পরের ওভারেই রায়না আউট হয়ে যান ২৪ বলে ৩২ করে। রায়াডুকেও এক ওভার দাঁড় করিয়ে রাখেন রশিদ খান। পর পর পাঁচটি বলে কোনও রান করতে পারেননি রায়াডু।  শেষ বলে কোনও মতে এক রান নিয়ে রশিদের মেডেন পাওয়া আটকান তিনি। 

কিন্তু তাতেও হায়দরাবাদের খেলোয়াড়দের দেখে মনে হচ্ছিল না, তাঁরা আলাদা করে কোনও ভরসা পাচ্ছেন বলে। কেননা ততক্ষণে আস্কিং রেট নেমে এসেছে ধোনিদের একেবারে নাগালের মধ্যে। ওয়াটসন শতরানে পৌঁছতেই তাঁর মুখের হাসি বলে দিচ্ছিল, ম্যাচটা যে পকেটে সেটা বুঝে ফেলেছেন। 

শেষ পর্যন্ত ১৯ নম্বর ওভারেই ম্যাচ শেষ করে দিলেন রায়াডু। তাঁর বাউন্ডারিতেই দু’বছরের নির্বাসন শেষে সোনালি প্রত্যাবর্তন চেন্নাইয়ের। রবিবাসরীয় ম্যাচ আবারও প্রমাণ করে দিল ধোনির চওড়া কপালের রূপকথার এখনও অনেক অধ্যায় বাকি।
এবেলা.ইন