আমি কিছু মনে করছি না : ফারিয়া

আমি কিছু মনে করছি না : ফারিয়া
স্কুলের বিতার্কিক থেকে হয়েছেন পেশাদার উপস্থাপিকা। কাজ করেছেন এফএম রেডিও স্টেশনের জকি হিসেবেও। কিন্তু নুসরাত ফারিয়া নিজের পরিচয় এর মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখতে রাজি নন। তাই যৌথ প্রযোজনার ছবি দিয়ে শুরু করেন চলচ্চিত্র কেরিয়ার। ওখান থেকে সম্প্রতি নিজের নামের পাশে যোগ করেছেন আরো একটি বিশেষণ, অর্থাৎ এখন থেকে তিনি গায়িকাও।

আর যে গান দিয়ে নিজের নামের সাথে গায়িকা বিশেষণটি যোগ করেছেন তার শিরোনাম ‘পটাকা’। গত ২৬ এপ্রিল ইউটিউব চ্যানেলে গানটি প্রকাশের আগে প্রচার-প্রচারণার কোনো কমতি ছিল না। কিন্তু সামাজিক মাধ্যমে গানটিকে ভালোভাবে নেননি দর্শক-শ্রোতারা। ইতিবাচকের চেয়ে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়াই বেশি পেয়েছেন নতুন পরিচয়ে আসা নুসরাত ফারিয়া। ৩ মে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত গানটিতে লাইক পড়েছে ১৪ হাজার আর ডিজলাইক পড়েছে ১ লাখ ২১ হাজার। এর আগে ইউটিউবে প্রকাশিত বাংলাদেশের কোনো শিল্পীর গানে এভাবে ডিজলাইক পড়ার খবর প্রকাশ হয়নি।

পটাকা গানটি লিখেছেন, রাকিব হাসান রাহুল। সঙ্গীত পরিচালনা করেছেন প্রীতম হাসান। ভিডিও নির্মাণ করেছেন কলকাতার বাবা যাদব।

ইউটিউবে নুসরাতের গানের ভিডিওর নীচে একজন রঙ্গ করে লিখেছেন এভাবে, ‘আমি বুঝিনা নুসরাত ফারিয়ার পটাকা গানটি ৯ হাজার লাইকের বিপরীতে কী করে ৪৮ হাজার ডিজ লাইক পায়, নুসরাত ফারিয়ার পটাকা অসাধারণ এই গান, এমন মধুর গান শুনে, কোকিল ভয়েসের কাতিল গায়ক ড. মাহফুজুর রহমানের কথাই মনে পড়ে যায় । আগে উনার (ড. মাহফুজুর রহমানের) কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী ছিল না কিন্তু আজ আমরা পেয়ে গেছি, নুসরাত ফারিয়াকে। ঠিক সেই কারণে, আজ এই খুশির দিনে। আমাদের একটাই দাবি নুসরাত ফারিয়া এবং ডা. মাহফুজুর রহমানের একটি দ্বৈত বা ডুয়েট অ্যালবাম চাই।

দেখবেন এই রোগা পটকা মেয়ে ফারিয়া, আর পটকা থাকবে না। ড্যাসিং মাহফুজের সাথে মিলে গিয়ে বোমা ফাটাবে। গানটা ভালো বা খারাপ, সেই তর্কে যাব না। কিন্তু এই গানে ফারিয়া যেভাবে পরিশ্রম করে ৩ মিনিটের উপরে গানটি টেনে নিয়ে যাবার মতো দুরূহ কাজটি করেছেন, তাতে উনি সবার কাছে টুপি খোলা স্যালুট দাবি করতেই পারেন। সেটা না করে, ডিজ লাইকে বেচারীকে ভাসিয়ে দিচ্ছি। আমি এর তীব্র প্রতিবাদ জানাই, আর অনেকেই ফারিয়ার ছোট পোশাকের কথা বলে ফারিয়াকে ছোট করবার, ছোটখাটো অপচেষ্টাতে লিপ্ত হয়েছে, আমি এর প্রতিবাদ জানাই, তীব্রভাবে। কারণ এটা গ্রীষ্মকাল চলছে, তাই এত লাইট পটকার মাঝে যদি ফারিয়া বড় মাপের কাপড় পরে নাচত, তবে হার্ট স্ট্রক করে মারা যেতেন। আর গলাকাটা মুরগির মতো এত লাফালাফি দেখে আমি নিজেই ভয় পেয়েছি, শুটিং করে প্রাণ হাতে নিয়ে মেয়েটা বেরিয়ে এসেছে, এটাই অনেক : যা গরম পড়েছে ভাইরে! এই গরমে এমন অমানুষিক পরিশ্রম!’

দর্শকের এমন মন্তব্যকে ইতিবাচক হিসাবেই দেখছেন ফারিয়া। তিনি বলেন, সবার বলার স্বাধীনতা আছে। সে জায়গা থেকে যে যার মতো করে বলে যাচ্ছে। গানের সবচেয়ে বড় শক্তি হলো- এটি মানুষ দেখেছে। এটাই বড় সাফল্য। আমরা অনেক গান দেখি যে, রিলিজ হয়ে যায় কিন্তু আমরা জানিই না। ‘পটাকা’ গানটা ভালো-খারাপ সেটা পরের বিষয় কিন্তু দর্শকরা এটা নিয়ে জেনেছেন এটাই অনেক’। লাইকের চেয়ে ডিজলাইক বেশি পাওয়া প্রসঙ্গে ফারিয়া বলেছেন, ‘কারণ আমি তো কোনো শাস্ত্রীয় সঙ্গীত গাইনি। ফলে এ গানে ওই ধরনের কিছু খোঁজাটা ডিফিক্যাল্ট। কিন্তু সেটাই করছে একটা শ্রেণি। কিন্তু আমি কিছু মনে করছি না।’

তিনি বলেন, মানুষের ভালো-মন্দ লাগতেই পারে। সবার ব্যক্তিগত মতামত থাকবে, এটাই স্বাভাবিক। একজন শিল্পীকে যথেষ্ট উদার মনের হতে হয়। যেকোনো কিছুই ঘটতে পারে আসলে।’