যে কারণে ইরানের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করল মরক্কো

যে কারণে ইরানের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করল মরক্কো
ইরানের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করতে যাচ্ছে মরক্কো। লেবাননভিত্তিক সামরিক রাজনৈতিক সংগঠন হিজবুল্লাহর মাধ্যমে ওয়েস্টার্ন সাহারা অঞ্চলের স্বাধীনতা আন্দোলনকারী সংগঠন পোলিসারিও ফ্রন্টের যোদ্ধাদের অস্ত্র ও প্রশিক্ষণ দিচ্ছে বলে তেহরানের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছে মরক্কো। রুশ গণমাধ্যম স্পুটনিক এই খবর দিয়েছে।

মঙ্গলবার মরক্কোর পররাষ্ট্রমন্ত্রী নাসের বৌরিতার অভিযোগ করেন, হিজবুল্লাহ পোলিসারিও ফ্রন্টকে সহায়তা করতে ইরান আলজিয়ার্স দূতাবাসের মাধ্যমে একটি জাহাজের মাধ্যমে অস্ত্র পাঠিয়েছে।

নাসের বৌরিতা বলেছেন, হিজবুল্লাহ যে পোলিসারিও ফ্রন্টকে সহযোগিতা করছে তার অকাট্য প্রমাণ রয়েছে মরক্কোর কাছে।

তেহরানে মরক্কো তাদের দূতাবাস বন্ধ করে দেবে এবং রাবাতে ইরানের রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কার করবে বলে তিনি জানান।

সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং বাহরাইন মরক্কোর এই সিদ্ধান্তকে সমর্থন করেছে।

১৯৯১ সালে জাতিসংঘের অস্ত্রবিরতির আগ পর্যন্ত সাহারাউই মানুষের স্বাধীনতার জন্য গেরিলা যুদ্ধ করে যাচ্ছে পোলিসারিও ফ্রন্ট।

ওয়েস্টার্ন সাহারা একটি বিরোধপূর্ণ এলাকা। ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত এই অঞ্চলটি স্পেনের দখলে ছিল। এরপরই ওই এলাকার দাবি করতে থাকে মৌরিতানিয়া, মরক্কো এবং পোলিসারিও ফ্রন্ট। পূর্বাঞ্চলীয় এলাকায় নিজেদের নিয়ন্ত্রণ ধরে রেখেছে আলজেরিয়ার সমর্থিত পোলিসারিও ফ্রন্ট।

মরক্কো ওয়েস্টার্ন সাহারা অঞ্চলকে তাদের দক্ষিণাঞ্চলের প্রদেশ বিবেচনা করে। কিন্তু প্রতিবেশী আলজেরিয়ার সাহারাউই শরণার্থীরা এই অঞ্চলকে তাদের জন্মভূমি মনে করে।

হিজবুল্লাহ মরক্কোর দাবি প্রত্যাখান করে এক বিবৃতে বলেছে, মরক্কোর যুক্তি ভিত্তিহীন। তারা ওয়েস্টার্ন সাহারা স্বাধীনতা আন্দোলনকারীদের অস্ত্র সরবরাহ করে না। যুক্তরাষ্ট্র, ইসরায়েল ও সৌদির চাপে পড়ে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে মরক্কো। এটা খুবই দুঃখজনক যে মরক্কো যুক্তরাষ্ট্র, ইসরায়েলে এবং সৌদির চাপে পড়ে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

পোলিসারিও ফ্রন্ট ইরান থেকে কোনো ধরনের সামরিক সহযোগিতা পাওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেছে।

মরক্কোর এই সিদ্ধান্ত এমন এক সময়ে আসলো যখন ইসরায়েলের প্রেসিডেন্ট বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু ইরান গোপনে পারমাণবিক কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছে বলে ২০১৫ সালের পারমাণবিক কর্মসূচি বাতিলের আহ্বান জানিয়ে আসছে।