থাইল্যান্ডের গুহায় খুদে ফুটবলারদের উদ্ধারে যাওয়া ডুবুরির মৃত্যু

থাইল্যান্ডের গুহায় খুদে ফুটবলারদের উদ্ধারে যাওয়া ডুবুরির মৃত্যু
থাইল্যান্ডের গুহায় আটকে পড়া ১২ শিশু । ছবি: ফেসবুক
থাইল্যান্ডের গুহায় আটকে পড়া খুদে ফুটবলারদের উদ্ধার তৎপরতায় যোগ দেওয়া এক ডুবুরি মারা গেছেন। গুহায় আটক ছেলেদের দম নেওয়ার অক্সিজেন সরবরাহ করে ফেরার পথে তিনি মারা যান। দেশটির চিয়াং রাই প্রদেশের থাম লুয়াং গুহায় গত ২৩ জুন কোচসহ ১২ খুদে ফুটবলার আটকে পড়ে। এর ৯ দিন পর ২ জুলাই ওই ফুটবল দলকে খুঁজে পায় থাই নিরাপত্তা বাহিনী।

আজ শুক্রবার সকালে বিবিসি অনলাইনের খবরে জানানো হয়, মারা যাওয়া ডুবুরির নাম সামান খুনাম (৩৮)। তিনি থাইল্যান্ডের নৌবাহিনী থেকে অবসর নিয়েছিলেন। ১২ খুদে ফুটবলার ও তাদের কোচ গুহায় আটকে পড়ার ঘটনায় উদ্ধারকাজে এসে তিনি যোগ দেন। গতকাল বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় দিবাগত রাত দুইটায় তিনি আটকে পড়া ফুটবলারদের অক্সিজেন সরবরাহ সরঞ্জাম দিয়ে ফেরার পথে মারা যান। অক্সিজেনের অভাবে তিনি জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। তাঁর সহকর্মীরা তাঁকে বাঁচাতে পারেননি।

ডুবুরির এই মৃত্যুর তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে চিয়াং রাইয়ের ডেপুটি গভর্নর পাসাকর্ন বুনইয়ালাক জানান, তিনি স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে উদ্ধার অভিযানে যোগ দিয়েছিলেন। তাঁর দায়িত্ব ছিল অক্সিজেন সরবরাহ করা। সরবরাহ শেষে গুহা থেকে ফেরার পথে তাঁর কাছে যথেষ্ট পরিমাণে অক্সিজেন ছিল না। 

আটকে পড়া স্থানীয় খুদে ফুটবলারদের দলের নাম ‘মু পা’। ফুটবলাররা প্রশিক্ষণের অংশ হিসেবে কোচের সঙ্গে গুহায় যায়। সন্ধান পাওয়ার আগ পর্যন্ত তারা যে বেঁচে আছে, এমনটা কেউ চিন্তা করেনি। কারণ বন্যার পানিতে গুহার আশপাশ এর মধ্যে টইটুম্বুর। থাম লুয়াং গুহাটির দৈর্ঘ্য প্রায় ১০ কিলোমিটার। এটি থাইল্যান্ডের দীর্ঘতম গুহার একটি। এখানে যাত্রাপথের দিক খুঁজে পাওয়া কঠিন। সংযোগ পথও (করিডর) বেশ সংকীর্ণ। ভারী বর্ষণ আর কাদায় থাম লুয়াংয়ের প্রবেশমুখ বন্ধ হয়ে গেলে তারা গুহার ভেতরে আটকা পড়ে। ভেতরে বন্যার পানি ঢুকে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়ে ওঠে।
এ পরিস্থিতিতে আটকে পড়া দলের সদস্যদের গুহায় থাকতে হতে পারে কয়েক সপ্তাহ, এমনকি কয়েক মাসও! ওই কিশোরদের সঙ্গে এখন দুজন ডুবুরি নিয়মিত গুহায় থাকছেন। তাঁরা তাদের ডুব সাঁতার শেখাচ্ছেন। ডুবুরিরা কিশোরদের পানির নিচে যে অক্সিজেন মাস্ক ব্যবহার করতে হয়, তার ব্যবহার শেখাতে শুরু করেছেন।