রোনালদো ছাড়া ভালোই চলছে রিয়ালের
প্রাক মৌসুম প্রস্তুতিতে যত হাই ভোল্টেজ ম্যাচই হোক, কেউ খুব একটা গুরুত্ব দিয়ে দেখে না। কিন্তু আজ ভোরে যখন রিয়াল মাদ্রিদ ও জুভেন্টাস মুখোমুখি হয়েছিল তখন, প্রীতি ম্যাচ কিংবা প্রস্তুতি ম্যাচের আবহ উড়ে গিয়েছিল। এ যে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর ম্যাচ!
এ মৌসুমের দলবদলের বাজারে ঝর তুলেছে জুভেন্টাস। রিয়াল মাদ্রিদ থেকে ১০০ মিলিয়ন ইউরো (মতান্তরে ১০৫) দিয়ে দলে টেনেছেন গত দুই বছরের বর্ষসেরা ফুটবলারকে। রোনালদোর দলবদলের পর এই প্রথম মুখোমুখি হয়েছে দুই দল। হোক না প্রীতি ম্যাচ, হোক সে ম্যাচে মূল কুশীলব রোনালদোই ছিলেন না, তবু এ ম্যাচে মূল আলোচ্য রোনালদো।
আরেকটি ছিল আলোচনার বিষয়বস্তু—রোনালদোকে ছাড়া রিয়ালের এ মৌসুম কেমন কাটবে? দলবদলের শুরুতে প্রথমে নেইমার ও পরে কিলিয়ান এমবাপ্পেকে রিয়ালে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছিল প্রায়। বিশ্বকাপে দুর্দান্ত খেলার পর এডেন হ্যাজার্ড নিজেই রিয়ালে যাওয়ার ইচ্ছা জানিয়েছেন। কিন্তু দলবদলের এ পর্যায়ে এসে বোঝা যাচ্ছে কাউকেই আনছে না রিয়াল। রোনালদোর মতো তারকার অভাব লস ব্লাঙ্কোরা কীভাবে পূরণ করবে? এক মৌসুমে ৫০ গোল এনে দেবেন কে?
জুভেন্টাস ম্যাচ দেখিয়ে দিল, আপাতত হয়তো তারকার আলো না থাকতে পারে রিয়ালের তবে প্রতিভার কোনো কমতি নেই দলে। ৩-১ ব্যবধানে জয় পাওয়া ম্যাচের প্রথমার্ধে প্রায় নিষ্প্রাণ খেলা উপহার দিয়েছে রিয়াল। ১২ মিনিটে আত্মঘাতী গোলে পিছিয়ে পড়ার পরও খুব ভালো খেলছিল না টানা তিনবারের চ্যাম্পিয়নস লিগ জয়ীরা। কিন্তু ৩৯ মিনিটে গ্যারেথ বেল বুঝিয়ে দিয়েছেন, কেন রোনালদোর অভাব পূরণের দায়িত্বটা তাঁকে বুঝিয়ে দেওয়া হচ্ছে। ডি-বক্সের বাইরে হঠাৎ পাওয়া এক বল থেকে দুর্দান্ত এক শটে ম্যাচে সমতা এনে দিয়েছেন ওয়েলশ ফরোয়ার্ড।
বেল তো রিয়ালের বর্তমানের ঝলক। আর দ্বিতীয়ার্ধ দেখিয়েছে রিয়ালের ভবিষ্যৎ। এবং গতকালকের ম্যাচ অনুযায়ী সেটাই বরং উজ্জ্বল। বিশ্বের সবচেয়ে দামি কিশোর ফুটবলার ভিনিসিয়ুস জুনিয়র এবং মার্কো অ্যাসেনসিও বুঝিয়ে দিয়েছেন নিজেদের দিনে যেকোনো রক্ষণ নিয়ে ছেলেখেলা করার ক্ষমতা রাখেন তাঁরা। প্রথম মিনিটেই দুর্দান্ত এক প্রতি আক্রমণ থেকে অ্যাসেনসিও বল দেন ভিনিসিয়ুসকে। ডি বক্সে ঢুকে সে বল ফেরত দেওয়া হয় অ্যাসেনসিওকে। এগিয়ে যায় রিয়াল।
আট মিনিট পরে মাঝমাঠে নিজের পায়ের কারিকুরিতে বিভ্রান্ত করে দিলেন ভিনিসিয়ুস। সেখান থেকে বল পেয়ে দ্রুত গতিতে আক্রমণে উঠে অ্যাসেনসিওর দ্বিতীয় গোল। ৫৯তম মিনিটেই ব্যবধান বাড়াতে পারত রিয়াল। এবার অ্যাসেনসিও দারুণ এক সুযোগ বানিয়ে দিলেন ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ডকে। দারুণ সে সুযোগ হাতছাড়া করার পরই সবার মনে পড়েছে, এত দুর্দান্ত খেলা ভিনিসিয়ুস সদ্য আঠারো পেরিয়েছেন। এ সুযোগ হাতছাড়া করার পরো অ্যাসেনসিও-ভিনিসিয়ুস জুটি বেশ কয়েকবার ভয় জাগিয়েছে জুভেন্টাস রক্ষণে।
এ ম্যাচেই প্রথমবারের মতো ‘ফলস নাইন’ হিসেবে খেলেছেন অ্যাসেনসিও। সে ম্যাচেই জোড়া গোল করে কোচ লোপেতেগির দুশ্চিন্তা একটু হলে দূর করেছেন এই স্প্যানিয়ার্ড। স্প্যানিশ গণমাধ্যমে দাবি করা হয়েছিল, রোনালদোর রেখে যাওয়া মাঠের বাঁ প্রান্ত অ্যাসেনসিওকেই দেওয়া হবে। এ কারণেই হ্যাজার্ডের প্রতি আগ্রহ হারিয়েছে রিয়াল। তবে আজকের ম্যাচের পর বোঝা গেছে, ২২ বছর বয়সী এই উইঙ্গারকে নিয়ে বেশ কয়েক রকম পরিকল্পনাই বানাচ্ছেন নতুন রিয়াল কোচ। সে সঙ্গে ভিনিসিয়ুসের আবির্ভাবও রিয়ালকে রোনালদোর কথা ভুলতে সাহায্য করছে।
প্রাক মৌসুম প্রস্তুতিতে যত হাই ভোল্টেজ ম্যাচই হোক, কেউ খুব একটা গুরুত্ব দিয়ে দেখে না। কিন্তু আজ ভোরে যখন রিয়াল মাদ্রিদ ও জুভেন্টাস মুখোমুখি হয়েছিল তখন, প্রীতি ম্যাচ কিংবা প্রস্তুতি ম্যাচের আবহ উড়ে গিয়েছিল। এ যে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর ম্যাচ!
এ মৌসুমের দলবদলের বাজারে ঝর তুলেছে জুভেন্টাস। রিয়াল মাদ্রিদ থেকে ১০০ মিলিয়ন ইউরো (মতান্তরে ১০৫) দিয়ে দলে টেনেছেন গত দুই বছরের বর্ষসেরা ফুটবলারকে। রোনালদোর দলবদলের পর এই প্রথম মুখোমুখি হয়েছে দুই দল। হোক না প্রীতি ম্যাচ, হোক সে ম্যাচে মূল কুশীলব রোনালদোই ছিলেন না, তবু এ ম্যাচে মূল আলোচ্য রোনালদো।
আরেকটি ছিল আলোচনার বিষয়বস্তু—রোনালদোকে ছাড়া রিয়ালের এ মৌসুম কেমন কাটবে? দলবদলের শুরুতে প্রথমে নেইমার ও পরে কিলিয়ান এমবাপ্পেকে রিয়ালে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছিল প্রায়। বিশ্বকাপে দুর্দান্ত খেলার পর এডেন হ্যাজার্ড নিজেই রিয়ালে যাওয়ার ইচ্ছা জানিয়েছেন। কিন্তু দলবদলের এ পর্যায়ে এসে বোঝা যাচ্ছে কাউকেই আনছে না রিয়াল। রোনালদোর মতো তারকার অভাব লস ব্লাঙ্কোরা কীভাবে পূরণ করবে? এক মৌসুমে ৫০ গোল এনে দেবেন কে?
জুভেন্টাস ম্যাচ দেখিয়ে দিল, আপাতত হয়তো তারকার আলো না থাকতে পারে রিয়ালের তবে প্রতিভার কোনো কমতি নেই দলে। ৩-১ ব্যবধানে জয় পাওয়া ম্যাচের প্রথমার্ধে প্রায় নিষ্প্রাণ খেলা উপহার দিয়েছে রিয়াল। ১২ মিনিটে আত্মঘাতী গোলে পিছিয়ে পড়ার পরও খুব ভালো খেলছিল না টানা তিনবারের চ্যাম্পিয়নস লিগ জয়ীরা। কিন্তু ৩৯ মিনিটে গ্যারেথ বেল বুঝিয়ে দিয়েছেন, কেন রোনালদোর অভাব পূরণের দায়িত্বটা তাঁকে বুঝিয়ে দেওয়া হচ্ছে। ডি-বক্সের বাইরে হঠাৎ পাওয়া এক বল থেকে দুর্দান্ত এক শটে ম্যাচে সমতা এনে দিয়েছেন ওয়েলশ ফরোয়ার্ড।
বেল তো রিয়ালের বর্তমানের ঝলক। আর দ্বিতীয়ার্ধ দেখিয়েছে রিয়ালের ভবিষ্যৎ। এবং গতকালকের ম্যাচ অনুযায়ী সেটাই বরং উজ্জ্বল। বিশ্বের সবচেয়ে দামি কিশোর ফুটবলার ভিনিসিয়ুস জুনিয়র এবং মার্কো অ্যাসেনসিও বুঝিয়ে দিয়েছেন নিজেদের দিনে যেকোনো রক্ষণ নিয়ে ছেলেখেলা করার ক্ষমতা রাখেন তাঁরা। প্রথম মিনিটেই দুর্দান্ত এক প্রতি আক্রমণ থেকে অ্যাসেনসিও বল দেন ভিনিসিয়ুসকে। ডি বক্সে ঢুকে সে বল ফেরত দেওয়া হয় অ্যাসেনসিওকে। এগিয়ে যায় রিয়াল।
আট মিনিট পরে মাঝমাঠে নিজের পায়ের কারিকুরিতে বিভ্রান্ত করে দিলেন ভিনিসিয়ুস। সেখান থেকে বল পেয়ে দ্রুত গতিতে আক্রমণে উঠে অ্যাসেনসিওর দ্বিতীয় গোল। ৫৯তম মিনিটেই ব্যবধান বাড়াতে পারত রিয়াল। এবার অ্যাসেনসিও দারুণ এক সুযোগ বানিয়ে দিলেন ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ডকে। দারুণ সে সুযোগ হাতছাড়া করার পরই সবার মনে পড়েছে, এত দুর্দান্ত খেলা ভিনিসিয়ুস সদ্য আঠারো পেরিয়েছেন। এ সুযোগ হাতছাড়া করার পরো অ্যাসেনসিও-ভিনিসিয়ুস জুটি বেশ কয়েকবার ভয় জাগিয়েছে জুভেন্টাস রক্ষণে।
এ ম্যাচেই প্রথমবারের মতো ‘ফলস নাইন’ হিসেবে খেলেছেন অ্যাসেনসিও। সে ম্যাচেই জোড়া গোল করে কোচ লোপেতেগির দুশ্চিন্তা একটু হলে দূর করেছেন এই স্প্যানিয়ার্ড। স্প্যানিশ গণমাধ্যমে দাবি করা হয়েছিল, রোনালদোর রেখে যাওয়া মাঠের বাঁ প্রান্ত অ্যাসেনসিওকেই দেওয়া হবে। এ কারণেই হ্যাজার্ডের প্রতি আগ্রহ হারিয়েছে রিয়াল। তবে আজকের ম্যাচের পর বোঝা গেছে, ২২ বছর বয়সী এই উইঙ্গারকে নিয়ে বেশ কয়েক রকম পরিকল্পনাই বানাচ্ছেন নতুন রিয়াল কোচ। সে সঙ্গে ভিনিসিয়ুসের আবির্ভাবও রিয়ালকে রোনালদোর কথা ভুলতে সাহায্য করছে।